আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বর রোববার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা সাধুর গলগন্ডা গ্রামের জাহাজমারা কমান্ডার হাবিবুর রহমান বীর বিক্রমের ১৯তম মৃত্যবার্ষিকী। ১৯৯৮ সালে এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরন করেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি জাহাজমারা হাবিবুর রহমান বীর বিক্রম স্মৃতী সংসদ ও ঘাটাইল প্রেসক্লাব থেকে দোয়া মাহফিল স্বরনসভা আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও কালিহাতী এলাকায় যমুনা-ধলেশ্বরী নদীপথে নজরদারীর দায়িত্ব ছিল কাদেরিয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ কমান্ডার মেজর হাবিবুর রহমান বীর বিক্রম-এর উপর। ১১ আগস্ট তার অত্যন্ত দুরদর্শীতা ও অল্প সংখ্যক সাহসী মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে জীবনবাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দুটি অস্ত্রবোঝাই জাহাজ এসটিরাজন ও ইউএস ইজ্ঞিনিয়ারস এলসি -৩ ধ্বংস করে ১ লাখ ২০ হাজার বাক্সে তৎকালীন ২১কোটি টাকার মূল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
পরবর্তীতে যুদ্ধজাহাজ ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পাকিস্তানী কমান্ডডেট লে. জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী ও বিগ্রেডিয়ার কাদের খানের নেতৃত্বে ৪৭ ব্রিগেট, ৫১ কমান্ডো ব্রিগেট ও হানাদার বিমান বাহিনী ২টি এফ-৮৬ সাব জেটবিমান দ্বারা মুক্তিবাহিনীর উপর চতুর্দিকে আক্রমন করে। কিন্তু তার আগেই ওই দুই জাহাজের বেশির ভাগ অস্ত্রশস্ত্র মুক্তিবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলেন। বাকি অস্ত্রসহ জাহাজ দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে গণ্য করা হয়। কমান্ডার হাবিবুর রহমানের অসীম সাহসীকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম ও জাহাজমারা হাবিব উপাধিতে ভুষিত করে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...