টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে স্থাপিত অবৈধ বাংলা ড্রেজার ধ্বংস করেছে প্রশাসন। গত দুইদিনে যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১৫টি বাংলা ড্রেজারের মেশিন ও পাইপ ভাঙচুর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাসরীন পারভীন এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসলাম হোসাইন বুধবার ও বৃহস্পতিবার যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন নেংড়া বাজার জাহাজমারা ঘাট থেকে গোবিন্দাসী ঘাট পর্যন্ত ৭টি ড্রেজার এবং গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা থেকে জগৎপুরা পর্যন্ত যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিত ৮টি অবৈধ বাংলা ড্রেজার ভাঙচুর করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেয়ে বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। এতে নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটরা ১৫টি বাংলা ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভাঙচুর করে।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক বাংলা ড্রেজার ও পাইপ ভাঙচুরের পরেরদিনই পুনরায় সেখানে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলণ করছে ড্রেজার মালিকরা।
উপজেলার ভালকুটিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ জানান, অবৈধ বালু উত্তোলণের ফলে নদী ভাঙনে আমাদের বাড়ি-ঘর হুমকির মুখে রয়েছে। বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাসরীন পারভীন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের আগমন সংবাদে অবৈধ বালু উত্তোলণকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে যমুনা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...