টাঙ্গাইলের সখীপুরে কারখানার পানি ও বর্জ্যে কৃষকের ফসলি জমির পাকা ধান নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। তবে পুরো বিষয়টিই একটি স্বার্থানেষী মহলের ষড়যন্ত্র বলে দাবি ‘মালিহা পলিটেক্স ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড কর্তৃপক্ষের।
উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ঘেঁচুয়া গ্রামের কারখানাটি সংলগ্ন কৃষকের কয়েক একর জমির ফসল কারখানাটির পানি ও বর্জ্যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগকারীরা জানান, পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে পারছেন না তারা। তবে পানি ও বর্জ্য কারখানার বাইরে নিষ্কাশনের বিষয়টি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন বলে দাবি করে কারখানাটির কর্তৃপক্ষ।
মালিহা পলিটেক্স ফাইবার ইন্ডাস্ট্রির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আবু সাঈদ তালুকদার বলেন, এ কারখানায় বিষাক্ত কোন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হয়না। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতলগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণের আগে সাইটিক সোডা ও ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবহার করে তা পরিস্কার করা হয়। এছাড়াও কারখানার ব্যবহৃত পানি ইটিপি প্লান্টের মাধ্যমে রিফাইন করে তা পূনরায় ব্যবহার যোগ্য করে তোলা হয়। পূনরায় ব্যবহারের পর যে পানি বেঁচে যায় তা প্রতিষ্টানটির নিজস্ব পুকুরে সংরক্ষণ করা হয়। সেই পুকুরে হচ্ছে মাছ চাষ। কাজেই কারখানার দূষিত পানি বা বর্জ্যরে কারণে কৃষকের জমির ফসল নষ্ট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারখানা সংলগ্ন কৃষকের চাষাবাদের জমিতে অতিবৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। এটাকেই পুঁজি করে স্থানীয় একটি স্বার্থানেষী মহল বারবার গুটি কয়েক মানুষকে একত্রিত করে কারখানাটির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টায় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ঘেঁচুয়া গ্রামের প্রায় ১১০ বিঘা জমির উপর নির্মিত হয় দেশের প্রথম প্লাস্টিক বোতল প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে সুতা, তুলা আর কাপড় তৈরির কারাখানা ‘মালিহা পলিটেক্স ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের। শিল্পকারখানাটি নির্মান ও পরিচালনার জন্য সরকারী সকল দফতরের সনদ ও নির্মান শেষ হতে না হতেই বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারি শুরু হয়। চলতি বছরে উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। তবে এর মধ্যেই কারখানটি পায় বাংলাদেশের প্রথম গ্লোবাল রিসাইক্লিন স্ট্যান্ডার্ড (জিআরএস) সনদ।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...