মারধর ও মানহানির অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোরশেদ আলম দুলাল ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আইয়ুব আলী এবং মো. সাইফুল ইসলাম মন্ডল বাদি হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর থানা আমলী আদালতে তিনটি মামলা দায়ের করেন।
সাবেক চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম দুলালের মামলা থেকে জানা যায়, তিনি এলাকার জনগনের অনুরোধে আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুলালের সমর্থকদের মিথ্যা মামলা ও ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা গত ১০ সেপ্টেম্বর এক কর্মী সভায় মোর্শেদ আলম দুলালকে মাইকে উচ্চস্বরে গালিগালাজ ও তার পরিবারের সদস্যদের সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানা রকম মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন মোর্শেদ আলম দুলাল, তার সমর্থক ও আত্মীয়দের রাস্তায় বের হতে দিবে না। বের হলে হাত পা ভাঙ্গাসহ খুনের হুমকি দেন। এতে মোর্শেদ আলম দুলালের প্রায় ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. আইয়ুব আলীর মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা তার অনুসারীদের নিয়ে ১৯৯৯ সালে নির্বাচনের বিরোধের কারনে চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইয়ুব আলীর বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেন। পরবর্তীতে মামলা হলে তার অনুসারীরা জেল হাজতে থাকে। পরবর্তীতে মামলাটি আপোষ করে। তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা গত ১০ সেপ্টেম্বর এক কর্মী সভায় মো. আইয়ুব আলীকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে ও তার অপর পা কেটে ফেলার হুমকি দেয়। এতে আইয়ুব আলী ৫০ লাখ টাকার মানহানি হয়েছে বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেন।
সাইফুল ইসলামের মামলা থেকে জানা যায়, গত চার নভেম্বর বুধবার সকালে সাইফুল ইসলাম ধানের বীজ ও কাপড় কিনতে বেগুনটাল বাজারে যাই। কিছুক্ষণ পর হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা তার লোকজন নিয়ে এসে সাইফুল ইসলামকে ঘেরাও করেন। চেয়ারম্যান তাকে চড় থাপ্পর মারে। এরপর চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ধরে পাশ্ববর্তী মার্কেটের তিন তলায় ক্লাবে নিয়ে যায়। সেখানে তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা চেয়ারম্যান, আশরাফের ছেলে নাইম, খাদেমের ছেলে রাকিবসহ ১২/১৩ জন লোক তাকে ক্লাবের কক্ষে আটকিয়ে কিল, ঘুষি, লাথিসহ রুলার, বাঁশের লাঠি ও ইলেকট্রিক তার দিয়ে বেধরক মারধর করে। চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা লাঠি দিয়ে বারি দিয়ে সাইফুল ইসলামের ডান পা ভেঙ্গে ফেলেন। অপর আসামী সুমন খান হত্যার উদ্দেশ্যে সাইফুল ইসলামের গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে। পরে মো. মাসুদ নামের এক আসামী সাইফুল ইসলামের পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়া নেয়। সাইফুলের ছেলে গ্রাম পুলিশকে খবর দিলে গ্রাম পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা আমাদের হয়রানি করছে। শুধু এখন নয় ১৯৭১ সাল থেকে তারা আমার পরিবারকে হয়রানি করছে।’
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...