টাঙ্গাইলে অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
লাশ গুমের অভিযোগে তাদের আরো সাত বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- স্বপন কুমার দাস, জাহিদুল ইসলাম, ফরহাদ, মনিরুজ্জামান ভুইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম ও শয়ান মিয়া।
রায় ঘোষণার সময় পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে এবং শয়ান মিয়া জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, অনিল কুমারের সৎ ভাই স্বপন কুমার দাস অন্য আসামিদের সাথে যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন। স্বপনে সঙ্গী মাদকসেবী মনিরুজ্জামান, ফরহাদ, মঞ্জুরুল, জাহিদ ও শয়ান মিয়া ভিকটিম অনিল কুমারের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার তিনটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার পরিকল্পনা করেন। ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই টাঙ্গাইলের রসুলপুরের বাসায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনিল ও তার স্ত্রী কল্পনাকে হত্যা করে। হত্যার পর তাদের লাশ বস্তায় ভরে বাসার বাথরুমের সেফটি ট্যাঙ্কের ভেতর ফেলে রাখে। এরপর পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় অনিলের ছেলে নির্মল কুমার দাস বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর খানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বপনসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৩৫ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ২৭ জন সাক্ষ্য দেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...