জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চারলেন মহাসড়কটির নির্মান কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের কারনে দীর্ঘসময় কাজ বন্ধ থাকা এবং ভূমি অধিগ্রহনের জটিলতাই মূল কারন হিসেবে মনে করছেন তারা।
এদিকে মহাসড়কের বেশিরভাগ আন্ডারপাসের নির্মান কাজ শেষ না হওয়ায় ওই স্থানগুলোতে প্রতি ঈদেই যানজট শুরু হয়। এরপর ওই স্থানগুলো থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট আরো দীর্ঘতম হতে থাকে। ফলে প্রতি ঈদেই তীব্র যানজটে পড়ে ঘরমুখো মানুষদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কটি চারলেনে নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের প্রতি কিলোমিটারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি।
সরেজমিন মহাসড়কের সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্লাইওভার নির্মান কাজে ব্যস্ত রয়েছেন প্রায় শতাধিক শ্রমিক। ওয়াজেদ মিয়া নামের এক শ্রমিক জানান, লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। কয়েকদিন আগে থেকে আবার নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজটি শেষ করতে পারবে কি না এ বিষয়ে তিনি জানাতে পারেননি।
এ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৩ সালে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়ে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। চার প্যাকেজে কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে প্যাকেজ-৪ নম্বর পড়েছে এলেঙ্গা-টাঙ্গাইলের ১০ কিলোমিটার। দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিসিএলের এ অংশের নির্মাণকাজ করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেড। কাজের চুক্তিমূল্য ৩৫৬ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় প্যাকেজে টাঙ্গাইল থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস ইন্টারসেকশন পর্যন্ত আরও ১৯ কিলোমিটার নির্মাণ করছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেড ও মালয়েশিয়ার এইচসিএম ইঞ্জিনিয়ারিং। তৃতীয় প্যাকেজে দুল্লামারী রোড থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ২২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেনে উন্নয়ন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামহোয়ান ও বাংলাদেশের মীর আখতার।
চারলেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অমিত দেবনাথ জানান, দীর্ঘ সময় লকডাউনের কারনে মহাসড়কে নির্মান কাজ বন্ধ ছিল। গত ১০ জুন থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৮৪ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ মহাসড়কে ১৩টি আন্ডারপাস ও দুইটি ফ্লাইওভার রয়েছে। এর মধ্যে একটি ফ্লাইওভার ও ৫টি আন্ডারপাসের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া মির্জাপুরের গোড়াই থেকে ঘারিন্দা পর্যন্ত ভ‚মি অধিগ্রহন জটিলতাও রয়েছে। এ কারনে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...