অনুমতি না নিয়ে সড়ক বিভাগের জায়গায় টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভা মধুপুর বাস্ট্যান্ড এলাকায় দুটি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করছে। এতে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হওয়ায় যাত্রী ছাউনীর নির্মান কাজ বন্ধের দাবিতে টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। বিষয়টি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক গুরত্ব না দিলে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সড়ক নির্বাহী প্রকৌশলী।
লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, মধুপুর পৌরসভার উদ্যোগে দুই মাস আগে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুটি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যাত্রী ছাউনীর সাথে টয়লেটসহ সেফটি ট্যাংকিও নির্মাণ করা হবে। ফলে জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের অসুবিধা এবং চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাই যাত্রী ছাউনী নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবি একাধিক দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী খায়রুল আহসান কাজল জানান, ওই জায়গায় কোন প্রকার বাস ও সিএনজি থামে না। তাই ওই এলাকায় কোন যাত্রী ছাউনীর প্রয়োজন নেই। নিজেদের সুবিধার্থে জাইকার একটি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করার জন্য সড়ক বিভাগের জায়গায় যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করছে মধুপুর পৌরসভা। এছাড়াও যাত্রী ছাউনীর নামে দোকান করে ভাড়া দেওয়া হবে। পাশাপাশি গণশৌচাগার করে ইজারা দিবে পৌরকর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হককে একাধিকবার জানানো হয়েছে। তিনি সুবিধা নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে যাত্রী ছাউনীর করার জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছে। কাজ শুরু করার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তাই যাত্রী ছাউনীর কাজ বন্ধের জোড় দাবি জানান তিনি। এছাড়াও মধুপুর পৌরসভা অনিয়ন দুর্নীতি ভরে গেছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোজম্মেল হক জানান, অনুমতি ছাড়া সড়ক বিভাগের জায়গায় পৌরসভা যাত্রী ছাউনী করতে পারবে না। সে বিষয়ে পৌর মেয়রকে চিঠি দেওয়া আছে। মেয়র জন প্রতিনিধি জনগনের কল্যাণে বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনী করছে। এ ছাড়াও অনুমতির জন্য মেয়র লিখিত আবেদন করেছেন। কত দিন আগে অনুমতির আবেদন করেছেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক।
মধুপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদ পারভেজ জানান, যাত্রী ছাউনী করার জন্য সড়ক বিভাগের কাছ থেকে মৌখিকভাবে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যাত্রী ছাউনীর বিষয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। পজিশন চেয়ে সড়ক বিভাগে আবেদনও করা আছে। পৌরসভার মধ্যে যাবতীয় কাজ করা পৌরসভার এখতিয়ার। পৌরসভা আইন ২০০৯ এর আওতায় যে কোন শাখা কাজ করবে পৌরসভার অনুমতি নিয়ে। জনগন সড়ক বিভাগের জায়গার কোন মালিক না। যদি কোন বাধাবিপত্তি করতে হয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। জনগন ব্যক্তি স্বার্থে তারা যদি সরকারি জায়গা দখল করে নেয় সেই জায়গা উদ্ধার করার সরকারি নির্দেশ আছে।
তিনি আরো জানান, মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে উন্নত মানের যাত্রী সেবা নেই। সেই লক্ষ্যে যাত্রী ছাউনী করা হচ্ছে। অনুমতির জন্য আবেদন করা আছে। প্রাথমিকভাবে মৌখিকভাবে অনুমতি নেওয়া আছে। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তার উপস্থিতি কাজটি শুরু করা হয়েছে। বিষয়টি আমলে নেওয়ার মতো কিছু নেই।
সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, অনুমতি না দেওয়া যাত্রী ছাউনী সরানোর জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...