সখীপুর উপজেলার দাড়িপাকা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায় একজন গুরুতর আহত হয়ে পরবর্তীতে মারা যান। এ নিয়ে মামলা দায়ের করা হয় সখীপুর থানায়। মামলার পর আসামীদের অনেকেই আত্মগোপন করলে বাদিপক্ষের লোকজন আসামীদের বাড়িতে আক্রমণ করে সবধরণের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাদিপক্ষের লোকজনের ভয়ে আসামীরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মামলার ১ নম্বর আসামী মাইন উদ্দিনের ছোটবোন সখীপুর উপজেলার দাড়িপাকা গ্রামের রহিমা খাতুন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রহিমা খাতুন জানান, তাদের সঙ্গে বাদিপক্ষের লোকজনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছি। তাদের দখলে থাকা সেই জমিতে তারা ধান রোপন করেন। গত ৫ মে ধান কাটতে গেলে একই গ্রামের হারেজ সিকদার, তার ছেলে আনোয়ার হোসেনসহ অন্তত ১২ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাধা দেয়। এক পর্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে হারেজ সিকদার আহত হন। পরেরদিন তিনি হাসপাতালে মারা যান। পরে নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন অপরপক্ষের মাইন উদ্দিনসহ দশজনকে আসামী করে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গত ৮ মে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
লকডাউনের কারণে আত্মসমর্পণ করতে না পেরে বাকি আসামীরা আত্মগোপন করেন। এ সুযোগে বাদিপক্ষের লোকজন গত ১৫ মে আসামীদের প্রত্যেকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রায় ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ১০০ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাদিপক্ষের লোকজনের আক্রমণের ভয়ে আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলেও সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে রহিমা খাতুনসহ তার আইনজীবী এডভোকেট নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...