টাঙ্গাইলে র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত কথিত দুই সাংবাদিককে একদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন জি বাংলা’র প্রতিনিধি মো. আলমগীর হোসেন (৪০) ও সাপ্তাহিক টাঙ্গাইল প্রতিদিনের সাবেক স্টাফ রিপোর্টার মোঃ তারেক রহমান সাদ্দাম (২৯)।
এর আগে র্যাব-১২ সিপিসি ৩ কোম্পানী কমান্ডার মেজর আবু নাঈম মো. তালাতের নেতৃত্বে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের টাঙ্গাইল সদর থানায় সোপর্দ করে র্যাব। পুলিশ সোমবার আদালতে হাজির করে তাদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুরের পর পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। মঙ্গলবার টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার আবু নাঈম মোঃ তালাত জানান, সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করা গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার হুগড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলের যাওয়া আসার পথে একই গ্রামের রেকাত মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (২২) উত্যক্ত করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ বিষয়ে উত্যক্তের শিকার মেয়েটি তাদের জানালে তারা ফারুকের বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। তারপরও গত ৩০ মে দুপুরে এক প্রতিবেশির মাধ্যমে ফারুক ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তারা প্রস্তাবটি নাকচ করে দেন। পরদিন গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ কয়েকজন কথিত সাংবাদিক ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে নিজেদের র্যাব ও সাংবাদিক পরিচয় দেন। তারা ফারুকের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। বিয়ে না দিলে ওই ছাত্রীর ক্ষতি করবে বলে তার ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। এক পর্যায়ে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এসময় ওই ছাত্রীর বাবা-মা তাদের দশ হাজার টাকা চাঁদা দেন। তারা বাকি ৪০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে চলে আসে। পরে ওই মেয়ের বাবা-মা টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার এবং টাঙ্গাইলে দায়িত্বরত র্যাবের কোম্পানী কমান্ডারের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন। শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে উত্যক্তকারি ফারুক এবং চাঁদা নেয়ায় দৈনিক আজকের প্রভাত পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি এস এম আতোয়ার রহমান, দৈনিক জনতার কথা পত্রিকার প্রতিবেদক জহিরুল ইসলাম, সাপ্তাহিক ইনতেজার পত্রিকার প্রতিবেদক মোঃ সবুর মিয়া, জি বাংলার প্রতিবেদক আলমগীর হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...