টাঙ্গাইলে বাবার পর তার নয় বছর বয়সী শিশুকন্যার দেহে পাওয়া গেল করোনাভাইরাস। এই শিশুসহ জেলায় নতুন করে আরো তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি মির্জাপুরে এবং অপরজনের বাড়ি গোপালপুর উপজেলায়।
এ পর্যন্ত জেলায় পুলিশ, সাংবাদিক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও শিশু-কিশোরসহ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ল ৮৮ জনে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাকসুদা খাতুন বলেন, মির্জাপুরে যে শিশুটির দেহে করোনার জীবানু পাওয়া গেছে তার বাবা উপজেলা কৃষি অফিসে চাকরি করেন। তিনি কয়েকদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টারে হোম আইসোলেশনে আছেন। পরে তার পরিবারের অন্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
বৃহস্পতিবার জানা যায়, অন্যদের মধ্যে শুধু এই মেয়েটি করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। সে এখন থেকে হোম আইসোলেশনে থাকবে। এছাড়া মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকার দক্ষিণ নাজিরপাড়ার এক ফেরিওয়ালা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি যে কলোনিতে থাকতেন সেখানকার ২৩টি পরিবারকে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে গোপালপুরে আক্রান্ত রোগীকেও ইতিমধ্যে চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল থেকে নতুন করে ১২৩ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জেলায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৬৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ জন। এ পর্যন্ত টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন।
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে মির্জাপুরে সর্বোচ্চ ১৬ জন, গোপালপুরে সাতজন, ভূঞাপুরে আটজন, ঘাটাইলে চারজন, নাগরপুরে ১০ জন, সখীপুরে সাতজন, মধুপুরে পাঁচজন, দেলদুয়ারে ১৪ জন, ধনবাড়ীতে ছয়জন, কালিহাতীতে পাঁচজন, সদর উপজেলায় চারজন ও বাসাইলে একজন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...