বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ভোররাতে ঢাকা থেকে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর শাকিল খান (২৫) নামের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা দক্ষিণ পাড়ায় চলে আসে।
তার বাবার নাম আলী আহমদ খান। তার বাড়ি হাবলা দক্ষিণ পাড়া হলেও তিনি ঢাকায় একটি ক্লিনিকে কাজ করতেন। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর সে হাবলা চলে আসে। বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম তাদের বাড়িটি লকডাউন করেন।
জানা যায়, শাকিল মিয়া (২৫) ঢাকার স্বনামধন্য এস পি আর সি হাসপাতাল মগবাজারে ওয়ার্ডবয় হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ম্যানেজার শাহিন কোভিড ১৯ পজেটিভ রোগী জেনেও জোড় করে তাকে অরক্ষিত অবস্থায় বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ।
শাকিল ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি পিকআপে নাটিয়াপাড়া আসে ভোর রাতে। নাটিয়াপাড়া হতে অট্রোরিকশা যোগে তার নিজ বাড়িতে আসে। অভিজ্ঞজনরা মনে করছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবসায়িক পশুভিত্তিক মনোভাবের কারণেই এভাবে করোনা ছড়িয়ে দেওয়া হলো ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত। বাসাইল উপজেলা প্রশাসন বাড়িটি লকডাউন করেছেন। সেই সাথে অটো চালককে খুঁজে বের করে তার বাড়িও লকডাউন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাসাইলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামছুন নাহার স্বপ্না জানান, বিষয়টি তিনি শুনে রাতেই স্থানীয় চেয়ারম্যানকে লকডাউন করতে বলেন। আজ শুক্রবার (১৫ মে) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...