অজ্ঞাত ফোনে বাসার নিচে আসার পরই নিখোঁজ দেবী রানী নামের এক নারী। কিন্তু ঘটনার তিন মাস অতিবাহিত হলেও তার কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ।
এঘটনায় নিখোঁজ দেবী রানীর মেয়ে শেফালি সরকার মাকে উদ্ধারে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপার কার্যালয় ও মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
নিখোঁজ দেবী রানী সরকার জেলার সখীপুর উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামের সন্তোষ সরকারের স্ত্রী। সে দুই মেয়ে নিয়ে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপাড়ায় জয়নাল নামের একজনের বাসায় ভাড়া থাকতেন। এছাড়া তিনি বড় মেয়ে শেফালি সরকারকে নিয়ে মির্জাপুরে নাসির গ্লাস কোম্পানীতে চাকুরি করতেন।
নিখোঁজ দেবী রানীর মেয়ে শেফালি সরকার জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে মাকে বাসার নিচে যেতে বলে। পরে তিনি বাসার নিচে যাওয়ার পর আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পেয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু তাতেও মায়ের কোন সন্ধান পায়নি। পরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়েও অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু তিনমাস অতিবাহিত হলেও মায়ের কোন সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ। এরআগে আমিসহ মা মির্জাপুরে নাসির গ্লাসে চাকরি করতাম।
তিনি আরো জানান, ছোট বোন বিথীর স্কুল বন্ধ থাকায় কিছুদিন আমাদের সাথে নাসির ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করতেন। চাকুরী করার সুবাধে ওই ফ্যাক্টরীর সিকিরিটি গার্ড তামজিমের সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তামজীম বিথীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় তামজীম বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। পরে বাধ্য হয়ে মা ও আমি নাসির গ্লাসে চাকরি ছেড়ে দেই। কিন্তু তারপরও তামজীম বিথীর ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে হুমকি দেন।
বিথী সরকার বলেন, আমার মাকে প্রায় তিন মাস যাবত দেখি না। কোথায় আছে কেমন আছে তাও জানি না। মাকে খুঁজতে পুলিশ প্রশাসনসহ বড় বড় কর্মকর্তার কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছি কিন্তু মায়ের কোন সন্ধান পাচ্ছি না।
মির্জাপুরের দেউহাটা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, দেবী রানীকে উদ্ধার পুলিশ চেষ্টা করছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...