কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনায় চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যেমন ফ্রন্টলাইনে থেকে কাজ করে যাচ্ছে, তেমনি কৃষিতে প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে হলেও কাজ করে যেতে হবে। যাতে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি না হয়, দুর্ভিক্ষ না হয়।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় অনলাইন সভায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'করোনাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের সবচেয়ে বড় মৌলিক চাহিদা হলো খাদ্য। আমরা কোনোক্রমেই কোনো মানুষকে অভুক্ত রাখতে পারি না।'
করোনার দুর্যোগ মোকাবিলা করতে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির বর্তমান ধারা শুধু অব্যাহত রাখা নয়, তা আরও বেগবান করতে হবে বলে মন্তব্য করেন আব্দুর রাজ্জাক। এই লক্ষ্যে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকলকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থেকে নিরলসভাবে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
'এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে'— প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাকে শিরোধার্য করে কোভিড-১৯-এর কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সকলকে কাজ করার আহবান জানান কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য খাদ্য উৎপাদনে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, করোনার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হলেও অবশিষ্ট সময়ের মাঝে কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী কোভিড-১৯-এর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশিত স্থাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সকল সংস্থা ও প্রকল্প পরিচালককে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার তাগিদ দেন।
সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...