টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বৃহস্পতিবার বিকালে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে পাকা ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং কমপক্ষে শতাধিক ঘর-বাড়ি ও দোকান পাট লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে পাইশানার নবনির্মিত মারফত-জেরফন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম। তিনি উপজেলার বেতো, সিংদাইর, সেহরাইল,আটিয়া উলাইল, জালালিয়া সহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় ঝড়ে ঘর ভেঙ্গে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাসরত ১০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং আরও যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি এসময় বলেন, আমরা ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করার চেষ্টা করছি। যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পর্যায়ক্রমে তাদের সহায়তা করা হবে।
এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে নিরুপন করে কৃষকদেরকেও সহায়তা করা হবে। এই দূর্যোগে সকলকে ধৈর্য ধরার আহবান জানান তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক ও ভাদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান মো.হাবিবুর রহমান।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালের হঠাৎ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা বলরামপুর, ভাদ্রা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদিয়া, কোদালিয়া, কাশিনারা ও দপ্তিয়র ইউনিয়নের ভূগোলহাটে ব্রি ২৮ পাকা ধান ও ভূট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ব্রি ২৯ ধানের শিষের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমার উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তরা মাঠে আছে তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করার চেষ্টা করছি। ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করে তাদের পর্যায়ক্রমে সহায়তা করা হবে।
উপজেলার পাইশানা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারনে আমরা খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছি। এরমধ্যে ঝড়ে আমাদের পাকা ধান শেষ করে দিলো। এখন আমাদের আর কষ্টের শেষ নাই। সরকার যদি আমাদের সাহায্য সহযোগিতা না করে তাহলে না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...