টাঙ্গাইলে করোনার উপসর্গ নিয়ে শাহ আলম (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শাহ আলম টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা আমিন বাজার এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার সদস্য ছিলেন।
এ ঘটনার পর ওই বাড়িটিসহ আশপাশের মোট ৫টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয় এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে তিনি ঠান্ডা জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পাশাপাশি তার হাপানির সমস্যা ছিলো। হঠাৎ করে বুধবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় কুরমিটোলা হাসপাতালে রেফার করেন কর্ত্যবরত চিকিৎসক। পরে এ্যাম্বুলেন্স উঠানোর সময়ই তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পর ওই বাড়িসহ আশপাশের মোট ৫টি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে। সকল নিয়মকানুন অনুযায়ী তাকে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে সখীপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দিঘীরচালা গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। নিহত স্কুল শিক্ষক শামসুল হক বড়হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কাকড়াজান ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বিদ্যুত বলেন, ওই স্কুল শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে
নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) পাঠানো হয়েছে। তবে পুরো ইউনিয়নে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান জানান, ওই শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হতে স্থানীয়ভাবে মৃত ব্যক্তির শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকার আইইসিডিআরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই বাড়ির সব লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষকের আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ছিল। দু-তিন দিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে বুধবার রাতেই ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ তার বাড়িতে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, মৃত্যুর আগে সবারই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ কারণে ও নিশ্চিত হতে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ফলাফল না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
এসআর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...