সারা দেশে যেই মুহুর্তে কতিপয় এসিল্যান্ড ও ইউএনও ম্যাজিস্টেটদের ক্রিয়াকলাপ নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ। ঠিক, সেই সময় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৃত্যুঞ্জয়ী বীরযোদ্ধা বিকাশ বিশ্বাস একজন মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত।
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশ এখন মরণব্যাধি নোবেল করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এ আক্রান্ত। মহামারি এ রোগের সংক্রোমন রোধে এ দেশ আজ লকডাউনের পথে। সরকারি নির্দেশনায় সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অপ্রয়োজনে পথে-ঘাটে বের হওয়া মানা। এমন পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষ মুখ থুবরে পড়েছে। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানুষ হোম কোয়ারিন্টিনে বা গৃহবন্ধী। কেউ কারো সংস্পর্শে যাচ্ছেনা। গৃহবন্ধী এ মানুষদের মাঝে প্রতিবন্ধী, হতদরিদ্র, দিনমজুর, কর্মহীন, অস্বচ্ছল, ভ্যান চালক, অসহায় ও দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের আয়ের কোনো উৎস না থাকায় তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রোমন রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিতে এ সব খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গোপালপুর উপজেলা চষে বেড়াচ্ছেন মানবতার ফেরিওয়ালা গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৃত্যুঞ্জয়ী বীরযোদ্ধা বিকাশ বিশ্বাস।
গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পাঁচ শতাধিক পরিবারের মধ্যে প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল ও ৫ কেজি করে আলু বিতরণ করছেন তিনি। এ সব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কাজের উদ্বোধন করেন মানবতার আরেক ফেরিওয়ালা স্থানীয় সাংসদ মৃত্যুঞ্জয়ী বীরযোদ্ধা ছোট মনির।
ইউএনও বিকাশ বিশ্বাস এর ভাষায়, “সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশব্যাপী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য লোকজনকে ঘরে থাকার আহবান করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে অস্বচ্ছল মানুষদের আয়ের কোনো উৎস না থাকায় তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। গোপালপুর উপজেলায় পাঁচ শতাধিক পরিবারকে এ খাদ্য সহযোগিতার আওতায় আনা হয়েছে।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে সঙ্গে নিয়ে প্রত্যেকের বাড়ী বাড়ী গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন তিনি। নিজ গাড়ীতে করে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অস্বচ্ছল লোকদের বাড়ীতে ও পথে-ঘাটে যেখানে যাকে পাচ্ছেন সেখানে তার হাতেই নগদ টাকাসহ খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। দেশের এই দূর্যোগ মূহুর্তে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে হাটবাজার ঘুরে ঘুরে অসাধু ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করছেন। হোম কোয়ারিন্টিন অমান্য করায় প্রবাস ফেরতদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করে সেই অর্থ তুলে দিচ্ছেন সরকারি কোষাগারে।
করোনা প্রতিরোধে হ্যান্ডমাইকিং এর মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় গিয়ে জনসচেতনামূলক কথাবার্তা বলছেন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে জনসমাগম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তিনি একধাপ এগিয়ে। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে ঘরে বন্ধি না থেকে সময়মত নিজের নাওয়া খাওয়া ভুলে জনসেবায় নিবেদিত এমন মৃত্যুঞ্জয়ী বীরযোদ্ধা ইউএন পেয়ে গোপালপুরবাসী গর্বিত।
এসআর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...