টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যা গ্রামের জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে ব্রিজের নিচে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় এনজিও কর্মী রণজিৎ রায় (৩৫) নামের সেই হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ঋণ গ্রহিতা মো. সানোয়ার হোসেন (৩০) আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় সানোয়ারের ভাই আনোয়ারকে আটক করা হলেও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নিহত রণজিৎ এর জুতা, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ নগদ ১৩ হাজার ৫শত টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন সানোয়ারের স্ত্রী ও মা।
আদালতে জবানবন্দিতে সানোয়ার বলেছেন, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ১২টার দিকে এনজিও কর্মী রণজিৎ রায় তাদের বাড়িতে কিস্তির টাকা আদায় করতে যায়। এক পর্যায়ে সানোয়ার রণজিৎকে একটি বইয়ের কিস্তির টাকা দেওয়ার পর আরেকটি বইয়ের কিস্তির টাকা ঘাটতি থাকায় তা সংগ্রহের জন্য তাকে বাড়িতে বসিয়ে রেখে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে চলে যায়। কিন্তু পরে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসে ঘরের ভিতর স্ত্রীর সাথে এনজিও কর্মী রণজিৎ রায়কে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় সানোয়ার।
আপত্তিকর অবস্থায় দেখে মাথায় যেন বাজ পরে সানোয়ারের। ঘড়ির কাটায় দুপুর যখন ১টা তখন ঘরের মধ্যে গলায় রশি পেচিয়ে খুন করা হয় রণজিৎ কে। কোথায় লুকাবে লাশটি, ব্যর্থ হয়ে গভীর রাতে লাশটি জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে ব্রিজের নিচে ফেলা হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার দিশা এনজিও নামের একটি ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মী রণজিৎ রায় (৩৫) কিস্তির টাকায় আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন বুধবার সকালে উপজেলার দুল্যা গ্রামের জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে ব্রিজের নিচ থেকে রণজিৎ এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) মির্জাপুর থানার এস.আই ও মামলার তদন্তকারী মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে, রণজিৎ রায়কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে সানোয়ার। তবে সানোয়ারের সাথে আরও কেউ এই হত্যাকন্ডে জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...