০৫:২৪ পিএম | টাঙ্গাইল, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

বাড়ির আঙ্গিনায় সরকারি স্কুলের পাঠদান, পরীক্ষা মসজিদে

স্টাফ রিপোর্টার | টাঙ্গাইল২৪.কম | শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৯ | |
, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে একটি বাড়ির আঙ্গিনায়। 

সম্প্রতি(২৮ অক্টোবর) সম্পন্ন হওয়া ওই বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত মডেল টেস্ট পরীক্ষা গ্রহন করা হয়েছে দক্ষিণ বেটুয়াজানী জামে মসজিদে। 

বন্যায় বিদ্যালটির স্থাপনা দু’বার ধলেশ্বরীর পেটে চলে যাওয়ায় এমন দুর্ভোগের মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে কার্যক্রম। 

জানা গেছে, নাগরপুরের গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

২০০৪সালে প্রথম ধলেশ্বরী নদী বিদ্যালয়ের ভবনটি গিলে খায়।  ২০১৭ সালের বন্যায় দ্বিতীয় দফায় ধলেশ্বরী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। 

এরপর থেকেই একটি বাড়ির আঙ্গিনায় খোলা আকাশের নিচে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। 

ওই বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন চারজন শিক্ষক। এছাড়া, তিনটি শ্রেণির পাঠদান একই স্থানে চালানোর কারণে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী কেউই ভালোভাবে কারো কথা শুনতে পারেনা। 

একটু বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা।  বিদ্যালয়ের দুরাবস্থার খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। 

স্থানীয় লোকজন ২৫শতাংশ জায়গাও স্কুলের জন্য ছেড়ে দিয়েছে।  কিন্তু ওই টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট করা হলেও শিক্ষার্থীদের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি।  

স্থানীয় অভিভাবক আব্দুর রহিম, সুরুজ মিয়া, সফদের আলী জানান, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা খোলা আকাশের নিচে অন্যের বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ালেখা করছে- এটা খুবই কষ্টের। 

স্কুলের কোন ঘর নেই, বসার জায়গা নেই- এ অবস্থায়ই ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে।  তারা দ্রুত একটি স্থায়ী ভবন নির্মাণের দাবি জানান। 

বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার বলেন, ‘আমি ভাল স্কুলে ভর্তি হব, এই স্কুলে খোলা আকাশের নিচে পড়তে ভাল লাগেনা।  ভাল স্কুলে ভর্তি হলে দূরে যেতে হবে, এ স্কুলটি বাড়ির কাছে, তাই এ স্কুলে পড়ছি’।  

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রতিষ্ঠার পরই বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে।  বেশ কয়েকবার বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। 

তবে ২০১৭ সালে ভাঙনের পর বিদ্যালয়টি পুন:নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়ছে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। 

এমন অবস্থা চলতে থাকলে এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলেও মনে করেন তারা।

গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আজম আলী জানান, বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ  বেটুয়াজানী জামে মসজিদে চূড়ান্ত মড়েল টেস্ট পরীক্ষা নেযা হয়েছে । 

আগামি নতুন বছরের আগেই এ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ না করা হলে ছাত্র-ছাত্রী সঙ্কটে পাঠদান কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। 

নাগরপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের একটি টিনের ঘর তৈরির জন্য কর্তৃপক্ষ পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। 
ওখানকার কিছু লোক ২৫শতাংশ জায়গা দিয়েছে। সেখানে মাটি ভরাট করা হয়েছে। 

খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়ের জন্য একটি অস্থায়ী টিনের ঘর নির্মাণ করা হবে। নতুন বছরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নতুন ঘরে ওঠতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল  হক  টিটু মুঠোফোনে জানান, এ বিদ্যালয়ের বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায় নি। তবে সরেজমিনে দেখে তিনি তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

মির্জাপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আ.লীগ নেতাসহ আহত ৩ ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে সা'দত কলেজে পতাকা উত্তোলন করলো ছ টাঙ্গাইলে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার   নাগরপুরে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে আনোয়ার মোল্লাকে বিজয়ী করতে একাট্টা উপজেলা আ. কালিহাতীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত মির্জাপুরে বিল থেকে কঙ্গাল উদ্ধার গোপালপুরে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঔষধসহ আটক ১ নাগরপুরে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সম্পন মির্জাপুরে তীব্র পানির সংকট নিরসনে এমপি শুভর নলকুপ স্থা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ  গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় মাভাবিপ্রবি কেন্দ্রে উ মির্জাপুরে রাতের আঁধারে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা নাগরপুরে দু''পক্ষের সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নি সখীপুর বনে দুর্বৃত্তের আগুন, বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি