টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বালোবাড়ি গ্রামের কয়েকটি অসহায় পরিবার একটানা সাত দিন বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশী হস্তক্ষেপে মুক্তি পেয়েছে।
জানা যায়, বালোবাড়ি গ্রামের আবু হানিফ মিয়ার কণ্যার বিয়ের খরচের প্রয়োজনে দশ শতাংশ আবাদী জমি দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকায় বিক্রির জন্য একই গ্রামের প্রভাবশালী ওমর আলীর সাথে বায়নাপত্র মূলে এক লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা গ্রহন করেন। দুই মাস কেটে গেলেও সমুদয় মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে জমি রেজিস্ট্রি করে নিতে তালবাহানা শুরু করে ওমর।
ইতিমধ্যে জমির দখল নিয়ে মাটি কেটে জমির শ্রেণী রুপান্তর করে ফেলা হয়। বহু দেনদরবার সত্বেও বাকি টাকা পরিশোধ অথবা জমি রেজিস্ট্রি করে নিতে টালবাহানা শুরু করে ওমর।
অসহায় আবু হানিফ হেমনগর ইউনিয়ন বোর্ডে লিখিত অভিযোগ দিলে ইউপি চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব উভয় পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে আবু হানিফকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা সাপেক্ষে বায়নার সমুদয় টাকা ওমর আলীকে ফেরত দেয়ার রায় দেন। রায়ে আবু হানিফ অন্যত্র জমি বিক্রি করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। কিন্তু পর দিন আবু হানিফ ওই জমি আড়াই লক্ষ টাকায় ভাতিজা জাহাঙ্গীর হোসেনের নিকট বিক্রি করেন।
এতে ওমর আলী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য গত ৪ নভেম্বর জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি যাওয়ার পথে বাঁশ দিয়ে শক্ত বেড়া দেয়। এতে জাহাঙ্গীর ও তার বংশের সকল লোকজন বাড়িঘরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বড়দের হাটবাজার অথবা জরুরী কাজে বাইরে যাওয়া সম্ভব ছিলনা। একটানা সাত দিন অবরুদ্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার হেমনগর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব হেমনগর ফাঁড়ির দারোগা লিটন হোসেনকে সাথে নিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং বেড়া উঠিয়ে অবরুদ্ধদের মুক্ত করেন।
এ ব্যাপারে রওশন খান আইয়ুব জানান, ওমররা খুব প্রভাবশালী। বিষয়টি ছিল খুবই নিন্দনীয়। কোনো বিরোধকে কেন্দ্র করে এভাবে কেউ কারো যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করতে পারেনা।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...