টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ফলদা বাজারে ডিস লাইনের কট্রোলরুমে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দুষ্কৃতিকারীরা ডিস লাইনের নিয়ন্ত্রণে কক্ষে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়া ডিস অপারেটর সুজনকে হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পরে এই ঘটনায় ডিস মালিক হানিফ উদ্দিন বাদী হয়ে ফলদা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লাল মিয়ার ছেলে বিপ্লব ও সম্পাদক কাদেরের ছেলে মিলনসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার সুন্দর গ্রামের মকবুলের ছেলে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে ডিস ব্যবসায়ী হানিফ উদ্দিনের সাথে ফলদা বাজারে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হানিফকে পুড়িয়া মারার হুমকি দেয়া হয়। ঘটনার পরের দিন শুক্রবার রাতে ফলদা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের ছেলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন হানিফের ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া সেখানে থাকা ডিস অপারেটর সুজন নামের একজনকে হাত-পাঁ বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে ডিস লাইন নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আগুনে পুড়ে যায় প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাংশ। এঘটনার পর থেকেই এলাকায় ডিস লাইন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ডিস লাইনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ যে মার্কেটে ছিল তার তৃতীয় তলায় টেলিটক ও বাংলালিংক টাওয়ার ছিল। ডিস ঘরে আগুন লাগার ঘটনা পাশর্^বর্তি একটি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনে কক্ষে থাকা সমস্ত যন্ত্রাংশ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ফলদা ক্যাবল টিভি ও ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের মালিক হানিফ উদ্দিন জানান, ডিস লাইনে আগুন লাগার ঘটনার তিনদিন অদিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় অভিযোগ দেয়ার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশিদুল ইসলাম জানান, ফলদা বাজারে ডিস লাইন ঘরে আগুণ লাগার ঘটনা পুলিশ তদন্ত শুরু করছে ।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...