০৩:৫৭ এএম | টাঙ্গাইল, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

যমুনার পেটে কালিহাতীর ৯২ ঘর-বাড়ী

মনির হোসেন, কালিহাতী থেকে | টাঙ্গাইল২৪.কম | রোববার, ২৫ জুলাই ২০২১ | |
কালিহাতীতে ৯২টি ঘর-বাড়ী যমুনার গর্ভে পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে। ছবি-টাঙ্গাইল২৪.কম
, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভৈরববাড়ি গ্রামের ৯২টি ঘর-বাড়ী যমুনার গর্ভে পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে। এতে শতাধিক মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও শতাধিক ঘর বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। বিষয়টি দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যমুনার পানি কমতে থাকায় শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে ও শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ভাঙন দেখা দেয় গ্রামটিতে। শুক্রবার রাতে ১৪টি বাড়ি নদী গর্ভে পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে। ৭৮টি বাড়ি ভাঙন শুরু হওয়ার পর ঘরবাড়ি ভেঙে শনিবার (২৪ জুলাই) সরিয়ে নেয়া হয়েছে। 

হঠাৎ করে একদিনে একটি গ্রামের এতগুলো পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ায় হাহাকার শুরু হয়েছে গ্রামটিতে। এ দিকে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

শনিবার বিকেলে সরেজমিন ভৈরববাড়ি গ্রামের গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো বাড়িঘরের জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তায় জমা করে রেখেছে। কেউ কেউ নিরাপদ স্থানে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। গ্রামটিতে যাওয়ার পথে দেখা যায় বেশ কিছু অংশ গাইড বাঁধ দেয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী বেলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও শতাধিক ঘর বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। 

গাইড বাঁধের পর আরো কিছু অংশ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে ভাঙন প্রতিরোধে। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে এ জিও ব্যাগগুলো ফেলা হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।

হাসিবুল চৌধুরী জানান, ২৩ শতাংশের বাড়ির অর্ধেক শনিবার যমুনা চলে গেছে। আসবাব পত্র অন্যের বাড়িতে ও ঘরের বেড়া রাস্তায় রাখা হয়েছে। কোথায় থাকবো ও কোথায় গিয়ে বাড়ি করবো তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।

হালিমা খাতুন জানান, এই বসত ভিটা আমার শ্বশুর ৯০ বছর বসবাস করে গেছে। আমরাও প্রায় ৪০ বছর যাবত বসবাস করছি। সেই ২৫ শতাংশের বাড়িটিও চলে গেলো। এখন অন্যের বাসায় রইছি। কই থাকবো, কি করবো সেটা ভেবে পাচ্ছি না।

ওই গ্রামের আব্দুল আজিজ প্রামানিক জানান, একটি মুরগীর খামার ও বসতবাড়ি শুক্রবার রাতে নদী গর্ভে চলে গেছে। সব হারিয়ে এখন আমি অসহায়। আগামীতে কিভাবে চলবো সেই চিন্তায় চোখে অন্ধকার দেখছি।

তার প্রতিবেশি শাহজাহান মিয়া জানান, হঠাৎ করে ভিটেমাটি হারিয়ে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার বিকেলেও তার বাড়িঘর ছিল। কিন্তু শনিবার সকালেই তিনি সব হারিয়ে পথে বসছে।

সোহেল মিয়া জানান, এখন কোথায় বসতি স্থাপন করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। তাদের মতো অসহায় মানুষদের সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।  

দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন জানান, ৯২টি পরিবার শুক্র ও শনিবার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ভাঙন কবলিত ওই গ্রামে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি শনিবার সকালে ভাঙন কবলিত ওই গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। নদীতে ঘরবাড়িসহ সবকিছু বিলিন হয়ে যাওয়া ১৪টি পরিবারকে তিনি পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা করেছেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

কালিহাতীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত মির্জাপুরে বিল থেকে কঙ্গাল উদ্ধার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অ গোপালপুরে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঔষধসহ আটক ১ মির্জাপুরে তীব্র পানির সংকট নিরসনে এমপি শুভর নলকুপ স্থা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ  গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় মাভাবিপ্রবি কেন্দ্রে উ মির্জাপুরে রাতের আঁধারে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা নাগরপুরে দু''পক্ষের সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নি সখীপুর বনে দুর্বৃত্তের আগুন, বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী কালিহাতীতে মে দিবস পালিত মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধ প্রধান শিক্ষককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর, থানায় মামলা গোপালপুরে বিদেশ ফেরত পুনরেকত্রীকরন শীর্ষক কর্মশালা নাগরপুরে খাদ্যভিত্তিক পুুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক প্রশি

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি