টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে সরকারী জলমহালের আওতাভুক্ত পুকুর নাম মাত্র টাকায় ৩ বছরের জন্য লীজ নিয়ে সাব-লীজ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার ৯ টি সরকারী জলমহালের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৪২৩-১৪২৫ বাংলা সন পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য ৭ টির দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে ডুবাইল ইউনিয়নের কোপাখী মৌজায় ৪.৩১ একর জায়গা জুড়ে কোপাখী পুকুর।
পুকুরটি ইজারা নিতে এলাকার একাধিক মৎসজীবী সমবায় সমিতি দরপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে বার্ষিক ৪১ হাজার ৬’শ ৭৫ টাকায় ইজারা বন্দোবস্ত পায় সেহড়াতৈল মৎসজীবী সমবায় সমিতি।
সরকারী বিধি অনুযায়ী সেহড়াতৈল মৎসজীবী সমবায় সমিতিই ওই পুকুরে মাছ চাষ করার কথা। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। পুকুরটির পূর্ব পাশে মৎস খামারের প্রয়োজনীয় উপকরণ রাখার জন্য ঘর তৈরি করে মাছ চাষ করছেন কোপাখী গ্রামের কবির নামের এক ব্যক্তি। যার সঙ্গে মৎসজীবী সমিতির কোনো সম্পর্ক নাই। এ বিষয়টিকে ঘিরে এলাকার মৎসজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
দেলদুয়ার সদর ইউনিয়ন মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি বাসুদেব রাজবংশী বলেন, আমার জানা মতে কোপাখী পুকুরটি সেহড়াতৈল মৎসজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে সমিতির সভাপতি খুশী মোহন রাজবংশীর নামে ইজারা নেয়া। সে হিসাবে মাছ চাষ তারই করার কথা।
সাব-লীজ দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান।
পুকুরের পাশের বাড়ির আব্দুল গফুর মিয়া বলেন, পুকুরটি ইজারা নিয়েছে সেহড়াতৈল মৎসজীবী সমবায় সমিতি। কিন্তু এখানে মাছ চাষ করেন কোপাখী গ্রামের কবির হোসেন।
ওই গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, পুকুর পাড়ে খামার ঘর তৈরি করে দীর্ঘ দিন ধরে কবির হোসেন মাছ চাষ করে আসছেন। বিষয়টি এলাকার সবারই জানা।
পুকুরে গোসল করতে নামা মুরুব্বী মো. মকবুল হোসেন বলেন, সরকারী পুকুরটি কবির হোসেন লীজ নিয়েছেন এটাই জানি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইজারাদার সেহড়াতৈল মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি খুশী মোহন রাজবংশী বলেন, পুকুরটি তার নামেই ইজারা নেয়া। সাব-লিজ নিয়ে কবির হোসেন মাছ ছেড়েছিল। তার সঙ্গে চুক্তির সময় শেষ হয়েছে।
পুকুরটি সাব-লীজ নেয়া কবির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন কবির বলেন, লীজ নিয়ে সরকারী জলমহাল অন্যকে সাব-লীজ দেয়ার নিয়ম নাই। যদি এরকম হয়েই থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...