টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রেমের সম্পর্কের পর পবিত্র ইদুল আযহার দিন ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষক শামীম মিয়া (১৯) ও ধর্ষিতাকে স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলেও ফিল্মিস্টাইলে ধর্ষকের সহযোগি ৩ বন্ধু তাকে ছিনিয়ে নেয় বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বাসাইল উপজেলার কাউলজানী মধ্যে পাড়ায়। ধর্ষিত কিশোরী উপজেলার কাউলজানী মধ্যে পাড়ার এক ভ্যান চালকের মেয়ে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থানায় বাসাইল পূর্ব পাড়ার ছুনু মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া (১৯), সহযোগি কাউলজানী এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে কায়ছার (২২), কাউলজানী খান বাড়ির বাবু খানের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), একই এলাকার মোক্তার খানের ছেলে রানা খান (২০) ও অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার বড় বোন বলেন, আমার ছোট বোন ঈদের কেনা-কাটা করার জন্য বাসাইল বাজারে যায়। পরে সেখানেই পরিচয় হয় তাদের দু’জনের। চলে ফোন নম্বর দেয়া-নেয়া। মাত্র ৩দিনের মধ্যে প্রেমের সস্পর্ক গড়ে উঠে তাদের। ৪র্থ দিনের মাথায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছোট বোনকে আমাদের বাড়ির পাশের একটি ছাপড়া ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে শামীম। স্থানীয়রা দেখে দু’জনকেই আটক করে।
পরে শামীমের সহযোগি ৩ বন্ধু আমার ছোট বোনকে মারধর করে শামীমকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাসাইল থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীকে ধর্ষণ আলামত পরিক্ষা করানো হয়। এখনো রিপোর্ট হাতে আসেনি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...