দক্ষতা, পরিশ্রম ও স্বচছতার মধ্য দিয়ে কাজ করলে যেকোন মানুষই তার কাজের স্বীকৃতি পাবে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরে শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, সদাচরণ, সহযোগিতামূলক মনোভাব, পাঠদান ও দক্ষ ব্যবস্থাপনাসহ ইত্যাদি বিষয়ে অসামান্য অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে।
১৪ ফ্রেব্র“য়ারি বুধবার জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম এর নিকট থেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বীকৃতি স্বরুপ ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহন করেন তিনি।
তিনি ১৯৭২ সালের ১ লা এপ্রিল টাঙ্গাইলের মধুপুরে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৮৯ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৯১ সালে মধুপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে (এমএসসি) এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে গণিতে (এম.এম.সি) অর্জন করেন। ঢাকা টিটি কলেজ থেকে (বিএড) করেন।
তিনি কর্মজীবনে কমপক্ষে ৩০ টি সরকারি-বেসরকারি ট্রেনিং করেছেন। শিক্ষকতা পেশায় থাকাকালীন সময়ে নায়ামে, বিয়ামে এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীন ময়মনসিংহ এইচ.এস.টি.টি আই থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রথম স্থান অর্জন করে সফলতার সঙ্গে প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন। প্রশিক্ষণ গ্রহন শেষে ২০১২ সালে বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজটির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগেও বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজে যেখানে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতো না ৬০ জন। সেখানে তার সঠীক নির্দেশনা এবং দক্ষতায় বর্তমানে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে ২০৪ জন। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে ২২৯ জন শিক্ষার্থী। সব-পিতা মাতাই চায় নিজের সন্তানকে জেলার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করাতে। সেখানে তিনি তার নিজের সন্তানকে নিজের প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি করিয়েছে। তার ছেলে শ্যাম সুন্দর দে। বর্তমানে সে বিবেকানন্দ হাই স্কুল কলেজের দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এবং সফলতার সঙ্গে প্রথম স্থান অর্জন করছে। পঞ্চম শ্রেণিতে সমপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলেও বৃত্তি পেয়েছে ।
অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, “পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমি কাজ করি না। ১৯৯৬ সাল থেকে নিজের চেতনা থেকে শিক্ষকতা পেশায় এসেছি। এইটাই আমার প্রথম এবং শেষ পেশা। আমি জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমি মনে করি আমার এ অর্জন শুধু আমার একার নায়। এ অর্জন আমার প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের। জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় এবং জুরি বোর্ডেও সকলের নিকট আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতেও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মানোন্নয়নে আমি কাজ কওে যাবো। এ জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকলের সহযোগিতা চাই।”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...