মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্জ্য নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় পরিবেশ চরম ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীরাও নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সৃস্টি হচ্ছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুরো পরিবেশই ধ্বংশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুকিও চরমে।
বর্জ্য নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় পুরাতন ও নতুন একাডেমিক ভবনের মাঝে অবস্থিত "রানী পুকুর" পাড়ে ময়লা আবর্জনাসহ খাবারের উচ্ছিষ্ঠাংশ ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। শুধু যে পরিবেশই দূষণ হচ্ছে এমনটা নয়। একদিকে যেমন পুকুরটি ধীরে ধীরে আয়তনে কমে যাচ্ছে ঠিক তেমনি তার নিজস্ব শোভাও হারাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরাতন ও নতুন একাডেমিক ভবনের মাঝে এবং কেন্দ্রিয় লাইব্রেরি কাম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে দিয়ে নতুন (২য়) একাডেমিক ভবনে যাওয়ার রাস্তার পাশে অবস্থিত রানী পুকুর পাড়ে বিভিন্ন বিভাগের অব্যবহৃত কাগজপত্র, ময়লা আবর্জনা, ক্যাফেটেরিয়াসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ ফেলে রাখা হয়েছে। যা প্রচন্ড দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বেশ কিছু শিক্ষার্থী জানান পুকুরটি এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ (ইএসআরএম) গবেষণার কাজে ব্যবহার করে থাকে। তাদের পক্ষ থেকেও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ইএসআরএম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী দিগন্ত বলেন, এ পুকুরটি আমরা গবেষনার কাজে ব্যবহার করি। এখানে গবেষণার জন্য বিভিন্ন প্রকারের মাছ ছাড়া হয়েছে। পুকুরটির পরিবেশ রক্ষায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং পুকুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষায় আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপও গ্রহন করেছি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসআরএম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মীর মো: মোজাম্মেল হক ক্যাম্পাসের সকল পুকুরগুলোকে ফুসফুস আখ্যায়িত করে বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা এই পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে তা আমরা চিহ্নিত করতে পারছি না। এই পুকুরগুলো রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা অনেকবার অবহিত করেছি এবং ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো: মাসুদুর রহমানকে ডেকে পুকুরে ময়লা ফেলতে নিষেধ করেছি। কিন্ত তাতেও কোন আশানুরূপ ফলাফল পাইনি।
এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, এত অল্প পরিসরের জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন চলতে থাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন জায়গা এখনো নির্ধারন করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর বিপুল পরিমান পৌরকর দিলেও পৌরসভা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ময়লা অপসারনের সুবিধা পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালায়ের পরিবেশ রক্ষায় সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
তপু আহম্মেদ
প্রকৌশলী সজল আহমেদ
সবুর খান টাওয়ার, বড় কালিবাড়ী রোড, টাঙ্গাইল-১৯০০
সেল: ০১৭১৯ ৯৬০ ৫৮৯/ ০১৯১১ ৬১৫ ৯৫৬, নিউজ রুম সেল: +৮৮ ০১৮৪৫ ৯৬৭ ২০১, +৮৮ ০১৮৪৫ ৯৬৭ ২০২
ই-মেইল: news.tangail24@gmail.com, এডিটর ইন চীফ ই-মেইল: topuahmed@gmail.com
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...