টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দুই পক্ষের বিরোধ থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর একান্ত সহকারী মীর আসিফ অনিকের বড় ভাই মীর রাহিম। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা অটো টেম্পু, অটো রিকশা, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন গোড়াই হাটুভাঙ্গা শাখার সভাপতির দায়িত্বে আছেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদের চাচাতো ভাই টিপু সুলতান এবং সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর ছেলে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক মীর মঈন হোসেন রাজিব তার অনুসারীদের নিয়ে ওই শ্রমিক অফিস দখল করার পায়তারা করে আসছে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায়শই বাকবিতন্ডা তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে রোববার সকালে মীর মঈন হোসেন রাজিবের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই শ্রমিক অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট করে। এসময় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে মীর রাহিম তাদের থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়। রাহিমের উপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন দায়ের কোপে আহত হন।
আহতরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর একান্ত সহকারী মীর আসিফ অনিকের ভাই মীর রাহিম, হাছিব রেজা (৩০), শাহরিয়ার খান অয়ন (২৫) এবং মীর মঈন হোসেন রাজিবের অনুসারী অভি সিদ্দিকী (৩৩), বাহার খান (৩০), নাজিম উদ্দিন (৩৫)। ৫ জনকেই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা অটো টেম্পু, অটো রিকশা, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন গোড়াই হাটুভাঙ্গা শাখার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক ও মীর রাহিম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মীর রাহিম একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...