বিদ্যালয়ের মাঠে চাষাবাদ!

বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি না করে সেখানে চাষাবাদের জন্য মাঠ বর্গা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয় মাঠের এক একর ৫৭ শতাংশ জায়গায় এখন কালাই চাষ করা হচ্ছে। সরেজমিনে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মোহনপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, উপজেলার মোহনপুর পাবলিক বিদ্যালয়ের মাঠে কালাই চাষ শুরু করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্যে সদস্যদের সহযোগিতায় মাঠে এ চাষাবাদ শুরু করেছেন। মাঠে কালাইয়ের চাষ শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সকল ধরনের খেলাধূলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

মাঠ রক্ষার অজুহাতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আব্দুল বাছেদের কাছে এ বর্গা দিয়েছেন। পরে ওই বর্গাচাষী মাঠের চারিদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাঠে কালাই চাষ শুরু করেছেন। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকল ধরনের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্কুলের মাঠ বর্গা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে। বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। মাঠে চাষাবাদ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। এছাড়া মাঠে চতুরপাশে গড়ে উঠা বসত বাড়িতে স্থানীয়দের যেতে কষ্ট হচ্ছে।

মোহনপুর পাবলিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলার মাঠে কালাই চাষ শুরু হয়েছে। মাঠটি বন্যার পানিতে ডুবে ছিল। মাঠটির জন্য এ যাবৎ কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

মোহনপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মোহনপুর সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) আশরাফুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়ের মাঠটি পানিতে ডুবে ছিল। এলাকার বালু ব্যবসায়ী ও কিছু লোকজন মাঠ দখল করে পরিবহন যাতায়াতের পথ তৈরি করায় মাঠটি আরো নষ্ট হয়ে পড়ে। মাঠটি রক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে একজন বর্গাচাষীকে দিয়ে মাঠে কালাই চাষ করা হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কবির জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ রক্ষার জন্য সাময়িকভাবে কালাই চাষ করা হচ্ছে বলে জেনেছি। তবে কালাই চাষ শেষ হওয়ার পর মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারবে।