টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার স্থগিতকৃত ভারড়া ইউনিয়নের সিমানা নির্ধারন পূর্বক গণবিজ্ঞপ্তির গণশুনানি শেষ হয়েছে। উপজেলা আনসার ও ভি. ডি. পি কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নির্বাচনের পক্ষে গণস্বাক্ষর করেছে এলাকাবাসী। সিমানা নির্ধারনী কর্মকর্তা নির্বাচন স্থগিত রাখার পক্ষে কোন প্রকার আপত্তি দাখিল হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা আনসার ও ভি. ডি. পি কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া ওয়ার্ড দুটি সিমানা পনঃ নির্ধারনের দায়ীত্ব পেয়ে গত ১৯ এপ্রিল সরেজমিন পরিদর্শন করে দুটি ওয়ার্ড সিমানা নির্ধারন করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ভারড়া ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার এবং ভারড়া ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবু বক্কর জানান, উপজেলা আনসার ও ভি.ডি.পি কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী ভারড়া ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ডের সিমানা পুনঃনির্ধানের দায়ীত্বভার গ্রহন করে উক্ত ওয়ার্ডের সিমানা পুনঃ নির্ধারনের জন্য গত ১৯ এপ্রিল সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের মতামতের ভিত্তিতে ভারড়া ইউনিয়নের সিমানা নির্ধারন পূর্বক কারো কোন প্রকার আপত্তি আছে কিনা সে বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তার কার্যালয়ে গণশুনানি করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ কোন প্রকার আপত্তি দাখিল করেনি। কিন্তু সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণ এবং এলাকাবাসী সিমানা নির্ধারন ছাড়াই নির্বাচনের দাবীতে গণস্বাক্ষর দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিমানা পুনঃ নির্ধারনী কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ও ভি.ডি.পি কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী জানান, সিমানা নির্ধারন সংক্রান্ত বিষয়ে কারো কোন আপত্তি থাকলে ১৭ মে মঙ্গলবারের মধ্যে আপত্তি দাখিলসহ স্ব-শরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্ত বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. কুদ্দুস মিয়া গত ৯ তারিখে একটি আপত্তি দাখিল করলেও ১৭ মে তিনি হাজির হননি। তাই আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ প্রথম ধাপে নাগরপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভারড়া ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ডের আংশিক যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় সিমানা জটিলতার কারণে ১নং ভারড়া ইউনিয়নের নির্বাচন স্থাগিত রেখে বাকী ১১টি ইউনিয়নের নির্বাচন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ও ৯ নং ওয়ার্ডের আংশিক গত বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। উক্ত ইউনিয়নের সিমানা জটিলতার কারণে ভারড়া ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...