টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিদের হামলায় নিহত দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দার (৫০) হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে গোপালপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অশোক কুমার সিংহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্রে তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জন গ্রেফতার ও একজন পলাতক রয়েছে। এছাড়া নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল পঞ্চগরে পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উলেখ্য, ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল গোপালপুর পৌরসভার ডুবাইল বাজারে মোটরসাইকেলে আসা তিন তরুণ দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দারকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিনই নিখিলের স্ত্রী আরতি জোয়ার্দার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে গোপালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ এই মামলায় জড়িত সন্দেহে গোপালপুরের শাখারিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে জেএমবি সদস্য মোসলেম ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করে। পরদিন তিনি আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মোসলেম জবানবন্দিতে বলেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করার কারণে দর্জি নিখিলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। জেএমবি সদস্য মোসলেম তাঁর দুই সঙ্গী সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মতিয়ার ওরফে হৃদয় এবং পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসানকে নিয়ে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভায় একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। সেখান থেকেই ডুবাইল গিয়ে নিখিলের বাড়ি ও দোকান পর্যবেক্ষণ করেন এবং পরে পরিকল্পনা অনুসারে দর্জি নিখিলকে হত্যা করে তারা।
মোসলেম এর জবানবন্দির উপর ভিত্তিকরেই পরে নাজমুল হাসান শাকিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...