তদবিরসহ নানা তৎপরতার পরও শাস্তি থেকে বাঁচতে পারেনি র্যগিংয়ের নামে অমানবিক অত্যাচার করে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম আলী সানি।
রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদিত এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিশে অভিযুক্তদের সাময়িক বহিস্কারের নির্দেশ জানানো হয়।
জানা যায়, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রায় প্রতিদিনই ২য় বর্ষের ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা র্যগিংয়ের নামে ডেকে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। প্রায় দেড় মাস সিনিয়রদের সম্মান দেখিয়ে চুপচাপ ছিল। কিন্তু শিবির আখ্যা দিয়ে ফাহিম, শুভ ও রানাকে পেটানোর পর তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে।
এর আগেও তারা পাঁচজনকে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। আর এ সকল কিছুর নেতৃত্ব দিচ্ছে সায়েম শিকদার।
সায়েম শিকদার নতুন শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে নিজেকে ক্যম্পাসের কিং বলেও উপস্থাপন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করে। পরে তারা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।
অভিযোগ দেবার পরপরই সাইদুর রহমান তার দলবল নিয়ে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে এসে সায়েমকে বাঁচানোর তদবির করে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় রোববার দিনব্যাপি বিক্ষোভ, ক্লাস ও পরীক্ষাবর্জন কর্মসূচী পালণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুরের দিকে প্রক্টরিয়াল বডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ডিন, প্রভোস্ট, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহ সকল শিক্ষকদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের সাথে কথাও বলে সভায় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
দুপুর থেকে শুরু হওয়া জরুরী সভা চলে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত। পরে সভা শেষে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নোটিশের মাধ্যমে জানায় প্রক্টর।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...