প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় পুলিশের এএসআই আব্দুল আলিমকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফরজানা হাসনাত এ রায় দেন। দন্ডিত ব্যক্তি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ঝুনকাই এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এএসআই পদে কর্মরত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৩ জানুয়ারি দেড়লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাদী দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ঝুনকাই এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে আব্দুল আলিমের সাথে বাদী একই উপজেলার মুশুরিয়া গ্রামের ছোরহাব আলীর মেয়ে মবিনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০১৫ সালে বিবাদী আলিম তার স্ত্রী মবিনার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে মবিনা ও তার সন্তানকে মারধর করে পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট বিবাদী ও বাদীর পরিবার বিয়ষটি মীমাংসা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আলিম তার শ্বশুর এর কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং মবিনা ও তার সন্তানকে রেখে চলে আসে।
এরপর প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই গোপনে কিশোরগঞ্জ থানার রাকসাইন গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে শাহনাজ পারভীন রুমাকে বিয়ে করে আলিম। এ ঘটনায় মামলার বাদী মবিনা বেগম ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬/৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন জেলা বার সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী গোলাম মোস্তফা মিয়া। অপরদিকে এ মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন হাসিমুল আক্তার।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...