টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বিয়ের ২০ দিনের মাথায় স্ত্রী বিরুদ্ধে স্বামী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গোমজানি গ্রামে।
নিহত ব্যক্তির নাম নুরনবি (২৫)। সে ওই গ্রামের জুব্বার শিকদারের ছেলে।
নিহতের মা লাইলি বেগম জানান, গত মাসে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি গ্রামের ছোরহাবের মেয়ে কল্পনার (২২) সাথে আমার ছেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমাদের সাথে ও আমার ছেলের সাথে কল্পনা খুব একটা কথা বলতো না। ঐ দিন রাতে ঘরে গিয়ে দেখি নুরনবি শুয়ে আছে। পাশে কল্পনা দাঁড়িয়ে আছে। আর মেঝেতে ফাঁস লাগানো দড়ি পরে আছে। আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছে কল্পনা। আমি তার বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী জিয়ারত মিয়া জানান, আমি রাতে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ নুরনবির ঘরে কেউ ছটফট করছে এমন শব্দ শুনতে পাই। বিষয়টি সন্দেহ জনক হলে আমি তার ঘরের মেঝের ফাঁক দিয়ে উকি মারি। দেখতে পাই নুরনবিকে তার স্ত্রী খাটের নিচ থেকে তুলে খাটে উঠাচ্ছে। পরে আমি প্রতিবেশী দারোগালী ও নুরনবির পরিবারকে অবহিত করি। তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে তার মা ঘরে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। তার গলায় ফাঁস লাগানোর চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমাদের ধারনা এটা আত্মহত্যা নয় নুরনবির স্ত্রী তাকে হত্যা করেছে।
স্থানিয়দের অভিযোগ, নুরনবিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী কল্পনা গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছে। নুরনবি ভ্যান চালাত, সে খেটে খাওয়া মানুষ। বিয়ের অল্প কদিনেই সে আত্মহত্যা করবে আমরা বিশ্বাস করিনা। এছাড়া নুরনবি আত্মহত্যা করলে তার স্ত্রী অবশ্যই টের পেত।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল হক ভুঁইয়া জানান, প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...