টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় মেয়ে ফারজানার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল প্রথম ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এ মামলার অন্যতম আসামী টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
দুপুর আড়াইটায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এতে নিহত ফারুকের মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিঠুন আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। স্বাক্ষ্য প্রদান শেষে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করে।
পরে ফারজানার স্বাক্ষ্য প্রদান ও জেরা সমাপ্ত হয়। বিচারক এ মামলার অন্যান্য স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।
এদিকে স্বাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন শুনানি শুরু করেন। পরে বিচারক আসামীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনেন। জামিন শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...