টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। উপজেলার যেদিকে তাকানো হয় সেদিকেই বোরো ধানের দিগন্ত বিস্মৃত সবুজের সমারোহ।
বিগতদিনে কয়েক দফায় বন্যার কারনে আমনের ফলন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের যে ক্ষতি হয়েছিল, সে ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে এবার অক্লান্ত পরিশ্রম করে বোরো ধান চাষ করেছেন কালিহাতীর কৃষকরা। ধান গাছের তেজদীপ্ততা দেখে কৃষকদের চোখে মুখে আশার আলো ফুটে উঠেছে। ধান খুব ভালো হওয়ায় সস্তি ফিরে পেয়েছে তারা। পাশাপাশি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো থাকায় এবং সার, ডিজেল, পানি ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরন সহজেই সরবরাহ পাওয়ায় কৃষকরা এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
উপজেলার বলা, সহদেবপুর, নাগবাড়ী, পারখী, ঘুনি, সিলিমপুর, বর্তা, পাথালিয়া, নারান্দিয়া, আউলিয়াবাদ, গোহালিয়াবাড়ী, সলা, পাইকড়া, ব্রজগাতী, রামপুর কালিহাতী সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় ধান খুব ভালো হয়েছে।
উপজেলার ব্রজগাতী গ্রামের কৃষক আ: বাছেদ বলেন, আমন ধান নষ্ট হওয়াতে এবার অধিকাংশ জমিতে বোরো আবাদ করেছি। আলাহর রহমতে এবার ফলন খুব ভালো হয়েছে। গো-খাদ্যের অভাবও থাকবে না।
বর্তা গ্রামের কৃষক অঞ্জন মজুমদার বলেন, বন্যার কারনে আমন আবাদে লোকশানের মুখে পড়ায় অন্যফসল আবাদের চিন্তা করেছিলাম কিন্তু ধান ও খড়ের অভাবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। তাই বেশিরভাগ জমিতেই বোরো আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি।
হযরত মন্ডল বলেন, ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ জমির ধান কেটেছি। ধান খুব ভালো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাকি জমির ধান গুলো ভালো ভাবে কেটে ঘরে তুলতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ. এম. শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর ১৭ হাজার ৫শ ৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও এ মৌসুমে তা ছাড়িয়ে ১৮ হাজার ৪শ ২ হেক্টরে এসেছে। গত বছর লক্ষমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৪ শ ৪৫ হেক্টর কিন্তু তা অতিক্রম করে ১৭ হাজার ৮ শ ৯০ হেক্টরে গিয়ে পৌছেছিল। এ বছর সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা যেমন বীজ, সার ও কীটনাশক যথা সময়ে কৃষকদের হাতের নাগালে পাওয়ায় উৎপাদন লক্ষমাত্রা অতিক্রম করেছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...