টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লেডি ফাটাকেস্ট খ্যাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের নেতৃেত্বে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক বাল্যবিবাহ।
বাল্যবিয়ের খবর শোনামাত্র সকাল-সন্ধা-রাত্রি যে কোন সময় বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বন্ধ করছেন তিনি।
বুধবার মহেড়া ইউনিয়নের মহেড়া গ্রামে বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন খবরে হাজির হন তিনি। বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন বর ও কনে পক্ষের লোকজনকে। এসময় তার সুন্দর উপস্থাপনায় মুগ্ধ হয়ে দুই পক্ষের অভিভাবকগন বিয়ে বন্ধ করে।
এর আগে গত সপ্তাহে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার কাজী ও পুরোহিতদের নিয়ে সভা করে বাল্যবিবাহ না পড়ানোর শপথ পাঠ করান তিনি।
উলেখ্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন প্রায় তিন মাস আগে মির্জাপুরে যোগদান করেছেন। এই অল্প সময়ে নিজে হাজির হয়ে অন্তত ১০ বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন তিনি। এছাড়া মাদক বিক্রি, সেবন, নদী থেকে মাটি লুট, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, মেয়াদ উত্তীর্ন ওষুধ বিক্রি এবং ইভটিজিংয়ের অপরাধে অর্ধশত ব্যাক্তির জেল জরিমানাও করেছেন তিনি।
তাছড়া উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মা সমাবেশের মাধ্যমে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হাজির হয়ে বাল্যবিবাহ, মাদক ও জঙ্গী তৎপতার বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ করে সচেতনামূলক আলোচনা চালাচ্ছেন।
ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনা বন্ধে গাড়ীর চালক ও হেলপাড়দের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন তিনি।
বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, মাদক, মাটিলুট ও জঙ্গী তৎপরতার বিরুদ্ধে তার শক্ত অবস্থান সাধারন মানুষের মন জয় করেছে। এভাবেই তিনি লেডি ফাটা কেস্ট খেতাব লাভ করেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন বলেন, উন্নত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তা অর্জনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর আমি সেই চেষ্টাই চালাচ্ছি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...