টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ওয়ার্কসপ কর্মচারীকে হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলার ঘাটাইল উপজেলার কামারচালা গ্রামের সোহাগ (১৫), উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের নাজমুল (২০), উপজেলার কামারচালা গ্রামের প্রধান আসামী সোহাগের মা খাদিজা (৩৩), উপজেলার নলমা গ্রামের সালমান জাহান জান্নাত (২১) ও জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তরুনীআটা গ্রামের সাব্বির তালুকদার জীবন (১৭)। এ সময় লুন্ঠিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দীন প্রেস ব্রিফ্রিং এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘাটাইল উপজেলায় মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের ভিতর থেকে নাহিদ হাসান (১৬) নামের এক ওয়ার্কসপ কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যাকারীরা একটি মোটরসাইকেল লুন্ঠন করে নিয়ে যান। পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার প্রধান আসামি হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত সোহাগকে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যমতে অপর আসামী নাজমুলকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পোড়াবাড়ীর বাস স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাজমুলের দেয়া তথ্য মতে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খাদিজার দেয়া তথ্য মতে অন্য দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগ লুন্ঠিত মোটরসাইকেলের জন্য নাহিকে হত্যা করে। এই হত্যা মামলার আসামী সোহাগ ছিল নাহিদের দু-সর্ম্পকের খালাতো ভাই। ঘটনার দিন তাদের ওয়ার্কসপের সামনে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। আশেপাশের যারা শ্রমিক ছিল তারা জিজ্ঞেস করলে সোহাগ বলে নাহিদ আমার খালাতো ভাই হই। সোহাগ রাতে নাহিদের সাথে ছিল।
সোহাগকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে সে জানায়, মোটরসাইকেলের জন্য তারা ওয়ার্কসপ কর্মচারীকে হত্যা করে। তার মূল পরিকল্পনা ছিল এই মোটরসাইকেল সে নিবে। পূর্ব পরিকল্পনাভাবে নাহিদকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই মোটরসাইকেল সরানোর জন্য সহযোগিতা করেছে সোহাগের মা খাদিজা। খাদিজা অপর দুজন সালমান ও সাব্বিরকে ২০ হাজার টাকা দেয়। তারা দুজন মোটরসাইলে নিয়ে জামালপুর রেখে আসে। হত্যার আগে আসামিরা নাহিদকে নেশা খাওয়েছে। নাহিদ নেশা খেয়ে যখন ঢোলে পরে। তারপর নাহিদকে কম্বল চাপা দিয়ে হত্যা করে। এ কথা আসামীরা স্বীকার করেছে। আসামীরা চারজন শ্রমিক তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে।
তিনি জানান, আসামীদের জিজ্ঞোসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। এ ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তপু আহম্মেদ
প্রকৌশলী সজল আহমেদ
সবুর খান টাওয়ার, বড় কালিবাড়ী রোড, টাঙ্গাইল-১৯০০
সেল: ০১৭১৯ ৯৬০ ৫৮৯/ ০১৯১১ ৬১৫ ৯৫৬, নিউজ রুম সেল: +৮৮ ০১৮৪৫ ৯৬৭ ২০১, +৮৮ ০১৮৪৫ ৯৬৭ ২০২
ই-মেইল: news.tangail24@gmail.com, এডিটর ইন চীফ ই-মেইল: topuahmed@gmail.com
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...