টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের সামনের ডোবায় দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা, বিভিন্ন আগাছা ও আবর্জনায় সয়লাব হয়েছে। এর ফলে বাড়ছে মশার সংক্রমণ। এছাড়া কচুরিপানা ও আগাছা পঁচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে মশার অত্যাচার ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছেন সেবাপ্রার্থী ও পৌর বাসিন্দারা।
উপজেলা পরিষদের চত্বরের ডোবার সামনে রয়েছে- সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, নির্বাচন অফিস, ভূঞাপুর প্রেসক্লাব, মৎস্য, যুব ও মহিলা উন্নয়ন কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী দোকানপাট। অপরদিকে, দীর্ঘদিন ধরে ডোবাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখায় সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরে ডোবাটি অবস্থিত। ডোবার উত্তরপাশে এক কোণায় সম্প্রতি বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। ডোবার বাকি অংশে কচুরিপানাসহ বিভিন্ন আগাছায় ছেঁয়ে গেছে। এসব আগাছা দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে বাড়ছে মশার সংক্রমণ।
চা বিক্রেতা তারা মিয়া বলেন, ডোবাটি দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা ও বিভিন্ন আগাছায় সয়লাব হয়ে আছে। এর ফলে দিনদিন মশার সংক্রমণ বাড়ছে। দিনে-দুপুরে বসে থাকাও যায় না মশার যন্ত্রণায়। তাছাড়া দুর্গন্ধ তো আছেই। প্রশাসনের কাছে দাবি, যেন দ্রুত ডোবাটি পরিষ্কার করা হোক।
ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ্ আলম প্রামাণিক বলেন, ডোবাটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে। ডোবাটি দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা ও বিভিন্ন আগাছায় ভরপুর রয়েছে। অনেকে আবার এ ডোবায় ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। যার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ নানা সংক্রমণ ছাড়াচ্ছে। এটি দ্রুত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার জানান, ইউএনও স্যার দেশের বাহিরে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তিনি আসলে তার সাথে আলোচনা করে ডোবায় থাকা কচুরিপানাসহ বিভিন্ন আগাছা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...