টাঙ্গাইল শহরের দয়াল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় জুলি আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এক লাখ টাকায় দফারফা করেছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। গত রোববার প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর এক লাখ টাকায় প্রসূতির মৃত্যুর রফা করেছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
জুলি আক্তার শহরের কাগমারি ফকিরপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আলীর স্ত্রী।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, সাত মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন জুলি আক্তার। গত সপ্তাহে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে গাইনী চিকিৎসক সাজিয়া আফরিন তার গর্ভের শিশুটি মারা গেছে বলে জানান। পরে তাকে শহরের দয়াল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। গত শনিবার জুলিয়াকে দয়াল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে প্রসব করলে ৩৫ হাজার টাকা ও নরমাল করলে ২০ হাজার টাকার কথা বলেন গাইনী চিকিৎসক সাজিয়া আফরিন। জুলিয়ার পরিবারের লোকজন অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে প্রসবের করতে বলেন। রোববার ডিএনসি করানোর সময় ডা. সাজিয়া আফরিন এর ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে জুলিয়া বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবার। মৃত্যুর বিষয়টি পরিবার যাতে বুঝতে না পারে সে জন্য তাকে সোমবার মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিতে বলেন ডা. সাজিয়া আফরিন। পরে রাতেই ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হয়। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এক লাখ টাকায় দফারফা করা হয়েছে।
প্রসূতির স্বামী ইয়াসিন আলী বলেন, ডা.সাজিয়া আফরিনের ভূল চিকিৎসার কারণেই আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি টাকা চাইনা আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই।
ইয়াসিনের বাবা মজিবর রহমান বলেন, ক্লিনিক মালিক পক্ষ আমাদের এক লাখ টাকা দিয়েছেন।
দয়াল ক্লিনিকের মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, এক লাখ টাকা দিয়ে তাদের সাথে সমঝোতা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর কোন কথা বলতে পারবোনা।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...