টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মো. শহিদুল আলম খান (৬৫) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কিল ঘুষি মেরে আহত করেছেন এক বিএনপি নেতা। কাগজপত্র ছাড়া ১০ টাকা কেজি দরের চাল না দেয়ায় আনোয়ার ইসলাম ছারু (৪৫) নামে ওই বিএনপি নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে ডিলার শহিদুল আলমকে আহত করেন।
সোমবার উপজেলার উয়ার্শী বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল আলম খান উপজেলার উয়ার্শী গ্রামের মৃত ওয়াজেদ খানের ছেলে। তাঁকে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল নয়টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আনোয়ার ইসলাম ছারু উয়ার্শী বাজারে সরকারের ১০ টাকা কেজি দরে হতদরিদ্রদের জন্য চাউলের জন্য বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল আলম খানের দোকানে যান। এ সময় দোকান কর্মচারী মোস্তাক মিয়া প্রয়োজনী কাগজপত্র ছাড়া তাকে চাল দিতে পারবেন না বলে জানান। এতে ছারু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মচারী মোস্তাক মিয়াকে অকর্থ ভাষায় গালিগালাজ করেন। সকাল দশটার দিকে উয়ার্শী বাজার ঘাটপার এলাকায় ডিলার বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদুল আলম খানের সঙ্গে ছারু মিয়ার দেখা হলে তিনি তাঁর উপরও ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুল আলমকে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এ সময় আঘাতে তার বাম চোখের চশমা ভেঙে রক্তাক্ত জখম হন। আহত শহিদুল আলমের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান খান ও জাহাঙ্গীর রহমান এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে উপজেলাস্থ জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তার সামনেই এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম ছারুর সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...