টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ঐতিহ্যবাহী জামুর্কী হাটের প্রবেশ মুখের রাস্তার বেহাল দশা। দূভোর্গ পোহাচ্ছে হাটে আসা হাজারো মানুষ ও স্থানীয়রা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটের প্রবেশ মুখের প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন অংশের খানা খন্দে জমে আছে বৃষ্টির পানি আর কাঁদা। এতে করে শনিবারের সাপ্তাহিক হাটে ধান ও লুঙ্গির দোকানীরা বসতে পারছে না। এ অবস্থায় ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। উপজেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র 'অবসর নন্দিনী', ইউনিয়ন পোস্ট অফিস, মাদ্রাসা, বেশকিছু ডিলার ও রাস্তার এক পাশে দুইটি ক্লিনিক অন্য পাশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে যার কারণে প্রতিদিন প্রায় হাজার মানুষের যাতায়াত এই রাস্তায়।
জামুর্কী হাটের ব্যবসায়ী বাকালী ট্রেডার্স স্বত্বাধিকারী বিজয় বাকালী ( ৬৩) বলেন,'রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে এই বেহাল অবস্থা হলেও সংস্কার করা হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে থাকে আর কাঁদা তো আছেই। মাল নিতে আসা গাড়ী রাখার মত জায়গায় নেই তাই ব্যবসায়ীদের সমস্যা হচ্ছে । রাস্তা উঁচু করে পানি নিষ্কাশনে ড্রেন করা হলে মানুষের দূর্ভোগ কমবে।'
জাকির ট্রেডার্সের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির (৫২) বলেন,' শনিবার হাটে যেখানে ছোট ব্যবসায়ীরা ধান,লুঙ্গি নিয়ে বসত সেখানে এখন কাঁদা আর বৃষ্টির পানি। হেঁটে যাওয়াও কষ্ট।এই হাট থেকে সরকার লাখ টাকা রাজস্ব পায় আর সেই হাটের রাস্তার বেহাল অবস্থা সরকার দেখে না।
মো.দেলোয়ার মিয়া (৬৬) বলেন,' বৃষ্টি আইলে রাস্তায় পানি জমে থাকে। পানি নামার রাস্তা না থাকায় পানি জমে রাস্তা গর্ত হওয়া গেছে। এইজন্য আগের থেকে হাটে মানুষ কমে গেছে। সরকারের কাছে দাবি জানাই যাতে রাস্তাটা পাঁকা করে দেয়।
জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল বলেন,'গত বছর থেকে হাটের ইজারা দেওয়া হচ্ছে না। ইজারা থেকে যা আয় হতো সেখান থেকে সরকার একটা অংশ হাট সংস্কারে বরাদ্ধ দেয়। কিন্তু সেটা পাচ্ছি না বলে রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমানে উপজেলা ভূমি অফিস হাটের রাজস্ব আদায় করছে। তবে বরাদ্ধ পেলে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করব।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...