টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের কাজ করাসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়কে ঢালাই করার পরদিনই হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলেছে স্থানীয়রা। সড়কের কার্পেটিং তোলার এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, এমআরআরআইডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের গোলাবাড়ি-রাজ গোলাবাড়ি সড়ক উন্নয়নের জন্য এক কিলোমিটারের অধিক প্রায় ৬৫ লাখ টাকার সংস্কার কাজ পায় স্থানীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বৈরান এন্টারপ্রাইজের জিল্লুর রহমান ওরফে শিহাব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাজ পাওয়ার পরই সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠে। এতে স্থানীয়রা সড়কের কাজ সঠিকভাবে করার আহ্বান জানালেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করে। এতে সড়কের কাজ করার পরদিনই হাত দিয়েই কার্পেটিং তুলে ফেলেছে স্থানীয়রা। কার্পেটিং তোলার এমন ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয়রা হাত দিয়েই কার্পেটিং তুলে ফেলছে। আর নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে আলোচনা করছে।
উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের গোলাবাড়ির ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, প্রথম থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করছে। এলাকাবাসী থেকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু ঠিকাদার সেটা মানেনি। পরে স্থানীয়রা হাত দিয়েই সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলেছে।
ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, গোলবাড়ি এলাকায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। সড়কের শেষ অংশের প্রায় ২৫ ফিট সড়কে সমস্যা ছিল বেশি। সড়কে ঢালাই করার পরদিনই সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। পরে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করায় পুনরায় সংস্কার কাজ করেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বৈরান এন্টারপ্রাইজের জিল্লুর রহমান বলেন, সড়ক সংস্কার প্রথম থেকেই স্থানীয় লোকজন সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। তারা সাবল দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলেছে।
উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, সড়ক সংস্কার কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। স্থানীয় লোকজন বিভ্রান্ত সৃষ্টির জন্য এমন কাজ করেছে এবং সেটি ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...