টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই মেঘারপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও দাতা সদস্য মিলে বিদ্যালয়ের অর্ধশত ইউক্যালেপ্টাস গাছগুলো বিক্রি করেন বলে অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের মেঘার পটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৭ কক্ষ বিশিষ্ট নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে বিদ্যালয়ের কয়েকটি ইউক্যালেপ্টাস গাছ কাটা পড়ে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. বাদল ও দাতা সদস্য সামাদ সরদার মিলে কাউকে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের অর্ধশত গাছ একলাখ দশ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী লাল চান টাকা পরিশোধ করে গাছগুলো কেটে নেন।
ক্রয় করা গাছ ব্যবসায়ী লাল চান বলেন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সামাদ সরদার গাছগুলো বিক্রি জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেন। পরে একলাখ ১০ হাজার টাকায় সামাদ সরদারের কাছ থেকে গাছগুলো কেনা হয়।
মেঘার পটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সামাদ সরদার বলেন, আমাদের দানের জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন ভবন নির্মাণ হবে বিধায় গাছগুলো কেটে বিক্রি করেছি। প্রশাসনকে না জানালেও বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক গাছ কাটার বিষয়টি অবহিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. বাদল বলেন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সামাদ গাছগুলো রোপন করেছিল বিধায় তারা কেটে বিক্রি করেছে বলে শুনেছি।
মেঘার পটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লেলিন সরকার বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে সভাপতি ও দাতা সদস্য মিলে গাছগুলো কেটে বিক্রি করেন। এর আগে কোন ধরনের যোগাযোগ তারা করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এতে বিদ্যালয়ের কয়েকটি গাছ কাটা পড়ে। কিন্তু কোন অনুমতি না নিয়ে বিদ্যালয়ের সকল গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ শুনেছি। সরেজমিন তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...