টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ি ঘর লন্ডভন্ড ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এমনিতেই মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। তার উপর আবার কালবৈশাখী ঝড় যেন মরার উপর খড়ার ঘা।
বৃহস্পতিবার বিকালে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে পাকা ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং কমপক্ষে অর্ধশত ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে পাইশানার নবনির্মিত মারফত-জেরফন নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘর চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।
এদিকে ঝড়ে বশে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায় নি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ দুলাল বলেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার পাইশানা গ্রামে। এখানে অনেক বাড়িঘর ভেঙে চুরমার হয়েছে। দেখা যায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ধানক্ষেতে ঘরের টিন পড়ে রয়েছে।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালের হঠাৎ ঝড়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা বলরামপুর, ভাদ্রা ইউনিয়নের ল²ীদিয়া, কোদালিয়া,কাশিনারা ও দপ্তিয়র ইউনিয়নের ভূগোলহাটে ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে ব্রি ২৮ পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ব্রি ২৯ ধানের পাতার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমরা অচিরেই ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করবো।
উপজেলার পাইশানা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারনে আমরা খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছি। এরমধ্যে ঝড়ে আমাদের পাকা ধান শেষ করে দিলো। এখন আমাদের আর কষ্টের শেষ নাই। না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।
পাইশানা গ্রামের শান্ত মিয়া বলেন, কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে দোকানপাটসহ প্রায় ৬০টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদুৎ সংযোগ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ধান ক্ষেতের পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থরা সরকারি সাহায্য কামনা করেছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...