টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুরে লকডাউনে থাকা গ্রামবাসীরা খাবারের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী ভ‚ঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সড়কের উপজেলার জিগাতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। পরে প্রশাসনের আশ^াসে অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসী।
এর আগে ওই গ্রামের তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়। পরে প্রশাসন গ্রামটিকে লকডাউনের ঘোষণা দেয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গত রবিবার গ্রামের দুইজনের মধ্যে করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়ায় গ্রাম লকডাউনের ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। এতে কাউকে এলাকা থেকে বের ও বাইরে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ঘরে খাবার ফুরিয়ে গেছে। বিশেষ করে শিশুদের খাদ্য সংকট হয়ে পড়েছে। চারদিন অতিবাহিত হলেও কোন ত্রাণ সহায়তা পায়নি।
জিগাতলা গ্রামের সোহেল, আলআমিন ও শাহআলম জানান, পুরো গ্রামটা লকডাউনের কারনে অবরুদ্ধ। কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ঘরে যে খাবার ছিল তা শেষ হয়েছে। বাইরে গিয়ে বাজার আনতে না পারলে না খেয়ে মরতে হবে। সরকারি-বেসকারিভাবে লকডাউনের পরে কোন খাবার বা ত্রাণ সহায়তা পায়নি। ঘরে শিশু সন্তান রয়েছে তাদের খাবার ফুরিয়ে গেছে।
গোবিন্দাসীর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, করোনায় আক্রান্তের পর জিগাতলা গ্রাম লকডাউনের আগে ১৩টি ত্রাণের প্যাকেট পেয়েছিলাম সেগুলো চা-স্টলে কাজ করা ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত জিগাতলা গ্রামের কোন মানুষ ত্রাণ সহায়তা পায়নি।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু বলেন, জিগাতলা গ্রামের মানুষ বাইরে গিয়ে বাজার সদাই করতে পারছে না। মানুষের কাছে টাকা থাকলেও এই লকডাউনের কারনে তারা অসহায়। বাইরে বের না হতে পেরে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাসরীন পারভীন জানান, জিগাতলা গ্রাম থেকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ছয় জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাদের বাজার প্রয়োজন তারা স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে টাকা দিবেন তারা বাজার করে বাড়িতে পৌছে দিবে। এছাড়া ওই গ্রামের ২৫০জন অসহায় দরিদ্রকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...