হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলে ৩ প্রবাসীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এর মধ্যে মির্জাপুরে ১ জনকে ১০ হাজার এবং ঘাটাইল উপজেলার ২ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নাছির উদ্দিন (৬০) মন্ডলকে ১০ হাজার টাকা এবং সন্ধ্যানপুর ইউনিয়নের গৌরেশ্বর ইলিপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আব্দুল কদ্দুছ (৪৫) কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তারা কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভেঙ্গে অবাধ চলাফেরা করছেন। জরিমানার পাশাপাশি স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে মির্জাপুরে সৌদি প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাইমহাটী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাঈনুল হক এ অর্থদন্ড দেন। অর্থদন্ডপ্রাপ্ত জাকির হোসেন (৪০) উপজেলার বাইমহাটী প্রফেসর পাড়া এলাকার ফিরোজ হোসেনের ছেলে।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাঈনুল হক বলেন, জাকির হোসেন গত ৮ মার্চ সৌদি আরব থেকে থেকে দেশে ফিরেন। আসার পর তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি সেটা না মেনে জনসন্মুখে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ কারণে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসাথে তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় প্রবাসী সংখ্যা বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। কেউ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেইসাথে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুর হাসান তালুকদার বলেন, টাঙ্গাইলে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মোট ১৭৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭, নাগরপুরে ৬, দেলদুয়ারে ৬, সখীপুরে ২৬, মির্জাপুরে ৭৭, বাসাইলে ২, কালিহাতীতে ২, ঘাটাইলে ৯, মধুপুরে ১, ভূঞাপুরে ৩, গোপালপুরে ২১ এবং ধনবাড়ীতে ৫ জন।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। তবে টাঙ্গাইলে এ পর্যন্ত কোন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এসআর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...