টাঙ্গাইলের কালিহাতী-বড়চওনা সড়কের আলু পাকুটিয়া বেইলী ব্রীজটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
কালিহাতী কলেজ মোড় হয়ে বড়চওনা পর্যন্ত দীর্ঘতম যান ও জনবহুল রাস্তার কালিহাতী পৌরসভার শেষ প্রান্তে আলু পাকুটিয়া ঝিনাই নদীর শাখার উপর নির্মিত এই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও শত শত ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজি, ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহন যাতায়াত করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেইলী ব্রীজটির বিভিন্ন জায়গার স্টীলের পাটাতনগুলো ভেঙ্গে গেছে এবং অনেক অংশে দেবে গেছে।
বড় কোন যানবাহন যাতায়াত করলে ব্রীজটিতে ভয়ংকর কম্পনের সৃষ্টি হয়। যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।
ব্রীজ কর্তৃপক্ষ কেন এর প্রতিকার করছে না এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
উন্নয়ন ও প্রগতিশীল দেশে কর্তৃপক্ষের খেয়ালীপনার কারণে যদি যানমালের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে এ দায়ভার কার এ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে জনমনে।
কালিহাতী থেকে ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া, ধলাপাড়া ও সখিপুর উপজেলার বড়চওনা যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এ বেইলী ব্রীজটি।
এ অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়তই অসংখ্য লোক এই বেইলী ব্রীজের উপর দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে।
ট্রাক চালক হারুন মিয়া জানায়, এই বেইলী ব্রীজটির উপর দিয়ে ট্রাক চালাতে খুব ভয় করে।
পাটাতনগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে যে কোন সময় দূর্ঘটনার কবলে পড়তে পারি। খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে ব্রীজটি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ব্রীজটির কাজ করা উচিৎ।
সিএনজি চালক রাসেল জানায়, এই ব্রীজের পাটাতনগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে একটি সিএনজি ব্রীজের উপর উঠলে আরেকটি সিএনজি অপর প্রান্তে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
বেইলী ব্রীজের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য একটি প্রকল্পে নতুন ব্রীজ ধরা আছে।
ওই রাস্তায় যে কয়টি বেইলী ব্রীজ রয়েছে সব কয়টি অপসারণ করে নতুন ব্রীজ নির্মাণ করা হবে এবং যানচলাচলের উপযোগী করার জন্য ওই ব্রীজটি মেরামতের জন্য অনুমোদন হওয়ার পর টেন্ডারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই মেরামতের কাজ শুরু হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...