টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মন্দির ঘর ভাংচুর করে জোর পূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার বাটরা গ্রামে।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথম বিরাজ করছে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কোকাদাইর মৌজাস্থ্য ২২০ নং খতিয়ানের ৮৭৮ নং দাগে ৪৫ শতাংশ ভূমি লীজ মূলে এবং ৮৭৭ নং দাগের সাড়ে ৯ শতাংশ ভূমি ক্রয় সূত্রে বাটরা গ্রামের চিত্ত রঞ্জন সুত্রধর মালিক হয়ে উক্ত ভূমির উপর একটি শিবমন্দির নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্মীয় কাজ করে করে আসছেন।
একই গ্রামের পরিমল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী উক্ত শিবমন্দির ঘর ভাংচুর করে চিত্ত রঞ্জন সুত্রধরের পরিবারের লোকজনদের মারপিট করে জোর পূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ পৌছালে সন্ত্রাসী বাহিনীরা পালিয়ে যায়।
চিত্ত রঞ্জন সুত্রধর জানান, "কোকাদাইর মৌজাস্থ্য ২২০ নং খতিয়ানের ৮৭৮ নং দাগে ৪৫ শতাংশ ভূমি লীজ মূলে এবং ৮৭৭ নং দাগের সাড়ে ৯ শতাংশ ভূমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে উক্ত ভূমির উপর একটি শিবমন্দির নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্মীয় কাজ সম্পাদন করে ভোগদখল করে আসছি। আমার প্রতিপক্ষ পরিমল চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন আমাদের জায়গাজমি জোরপূর্বক জবরদখলের চেষ্টা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৮-১০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার পরিবারের লোকজনদের মারপিট করে আমার জায়গার উপর শিবমন্দির ঘর ভাংচুর করে এবং আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। থানা পুলিশের সহায়তা নিলে সন্ত্রসী বাহিনীরা পালিয়ে যায়। এব্যাপারে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
পরিমল চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, উপজেলার বাটরা গ্রামের চিত্ত রঞ্জন সুত্রধরের বাড়ীতে শিবমন্দির ঘর ভাংচুরের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...