০৮:৪৫ এএম | টাঙ্গাইল, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

মাঠে মাঠে কৃষকের স্বপ্ন

স্টাফ রিপোর্টার | টাঙ্গাইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১৮ | |
, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলে বিস্তীর্ণ সবুজ ঘেরা মাঠে মাঠে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুরে এখন শোভা পাচ্ছে শীতকালীন সবজির সমারহ। সবজি চাষে বদলে গেছে মাঠের দৃশ্যপট। 

চিরচেনা সবুজ দৃশ্য যে কোন মানুষের নজর কাড়ছে। কৃষকের পদধূলিতে ছোট চাঁরা বেড়ে উঠেছে। ধরছে ফসল। কৃষকের হাসির ঝিলিক প্রস্ফুটিত হচ্ছে মরিচের ডগায়। ধনে পাতার শুভাস ছরিড়ে পড়ছে বাতাসে বাতাসে। নীরবেই আলুর শরীর মোটা তাজা হচ্ছে মাটির নিচে। ইট পাথরের শহর থেকে বেরুলেই দৃস্টিতে পড়ে কৃষকের স্বপ্ন বোনা ফসলের মাঠ। 

প্রাণ জুড়িয়ে যায় তাদের আদর যন্তে গড়েতোলা সবজি ক্ষেত দেখে। সকালে হালকা কুয়াশা ভেত করে আকাশের সূর্য উঠার আগেই কৃষরা হৃদয়ের টানে ছুটে আসেন জমিতে। শরীরের সবটুকু শক্তি আর মনের গভির পোষা ভালবাসার সিক্ত করে তুলেন কপি, টমেটো, কিংবা লাউ, সিমের গোড়া থেকে ডোগা পর্যন্ত। ক্ষেতে পানি দেওয়া আগাছা পরিস্কার কিটনাশক প্রয়োগ নিরানী সহ সবজি ক্ষেত পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষরা। 

আবহাওয়া অনুকূল ও আধুনিক পদ্ধিতিতে শীত কালিন সবজির চাষাবাদ করায় ভাগ্যর পরিবর্তন গড়ে উঠেছে অনেক কৃষকের। ক্ষেতের সবজির পাশাপাশি অনেকেই বাড়ীর আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন সবজি পল্লী। এবছর রোগ বালাই কম হওয়ায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় হাজার হাজার কৃষক নতুন স্বপ্নে বিভোর। তারা ক্ষেতেই সবজি বিক্রি করছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই সব সবজি। 

জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে জেলায় নয় হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজির চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা। 

জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় কৃষকের ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের সবজি। এসবের মধ্যে লাউ, সিম, বরবটি, চালকুমড়া, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, ঝিংগা, পালংশাক, লাল শাক, কমলি শাক, পুইশাক, ঢাটা শাক, করলা, ধনিয়া পাতা, ঢ্যরস, পাটশাক, পলট, খিরা, চিচিংগা, সরিসা শাক, ওল, গাজর, মটরশুটি, মুলাশাক, ফুল কপি, বাধাকপি। 

সদর উপজেলার পাঁচবিক্রম হাটি সবজি চাষি মোস্তাফা করিম জানান, শীত কালীন সবজি চাষে খরচ কম লাগে। এতে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। এ বছর ২ বিগা জমিতে বগুন ও লাউ ১ বিঘায় বাধাকপি এবং ফুলকপি, দশকাঠা জমিতে ধনেপাতা চাষ করেছি। 

একই গ্রামের ঠান্ডু মাতাম্বর জানান অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাই অন্য ফসল ছেড়ে সবজির চাষ করছি। এবছর এক ভিগা জমিতে ভিবিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছি। এতে খরচ হয়েছে চার হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বাজারে বিক্রি ভালো হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে সবজি না আসলে আমরা আরো ভালো দামে বিক্রি করতে পারতাম। 

সদর উপজেলার করটিয়ার সবজি চাষি নজরুল জানায় বাজারে সবজির দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তবে সার, কীটনাশক, বীজ ও পরিবহন খরচ বেশি। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ বছর শীতকালিন সবজি নয় হাজার হেক্টর লক্ষ্য ছিল। উৎপাদন হয়েছে আট হাজার হেক্টর। এখনো পর্যন্ত অনেকে চারা রোপন করছে। আশা করা যায় লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও বেশি উৎপাদন হবে। শীতকালিন সবজি চাষে কৃষকদের পারামর্শ ও সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। 

কৃষকদের আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে কৃষি বিভাগ আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার ফল পাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষক এমনই দাবি এই কর্মকর্তার।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু এক স্কুল থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেল জমজ দুই বোন নাগরপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রাজপথে, প্রতিবাদ মানববন্ধন গোপালপুরে পরিবহন শ্রমিকদের ডাটাবেজ বা নিবন্ধন তৈরি শুরু মির্জাপুরে ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন টাঙ্গাইলবাসীর বোবা কান্নার ২৮ বছর ডিএনএ দিবসে মাভাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের দেয়ালিকা প্রদর্ মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এসএসসি-২০২৪ সাফল্য শতভাগ লোকমান ফকির কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ চান শিক্ষক-কর্মচারীরা ঋণ খেলাপি দায়ে ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন ও সালাউদ্দিনের ম কালিহাতী পৌর আওয়ামী লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত  ধনবাড়ীতে ১৯ হাজার ৪২৩ ভোট বেশি পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্য শেখ হাসিনা সরকার কৃষিকে যন্ত্রিকীকরণ করেছে : খান আহমেদ মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফল প সর্বজনীন পেনশন‌ প্রজ্ঞাপন‌ বাতিলের দাবিতে মাভাবিপ্রবি শ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি