১১:৫৭ এএম | টাঙ্গাইল, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

নিস্পাপ শিশুটির দায়িত্ব নিবে কে?

জুবায়েদ ইমন | টাঙ্গাইল২৪.কম | রোববার, ২৬ আগস্ট ২০১৮ | |
, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলে চাচা ও ভাতিজার যৌন লালসার শিকার স্কুল ছাত্রী কণ্যা সন্তান প্রসব করেছে। বর্তমানে মা-মেয়ে উভয়ই সুস্থ আছেন। কিন্তু শিশুটি কার পরিচয়ে বড় হবে? এমন প্রশ্নই এখন ঘোরপাক খাচ্ছে।

রোববার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে সে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। ওই হাসপাতালের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাজমা খলিল এ অপারেশন সম্পন্ন করেন। এর আগে শনিবার ভোর ৫ টার দিকে মেয়েটি প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের এক নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। 

সে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের মেয়ে ও ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।

জানা যায়, দারিদ্রতার কারনে কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের আনছের আলীর বাসায় কাজ করতো ওই স্কুল ছাত্রী। কাজের সুবাধে আনছের আলী ওই স্কুল ছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকে। ধর্ষণ করার সময় ঘটনাটি দেখে ফেলে তারই আপন বড় ভাই মুনসুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম। পরে শরিফুল ঘটনাটি লোকজনের কাছে বলে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। হত্যার ভয় দেখিয়ে ও কাউকে কিছু না বলতে ওই মেয়েকে নিষেধ করে দেয় আনছের আলী ও শরিফুল। সুযোগ বুঝে চাচা-ভাতিজা প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতো। ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে।

জন্ম নেয়া ওই শিশুটির দেখভাল করছেন স্কুল ছাত্রীর মা কমলা বেগম ও বড় বোন মরিয়ম। পাশেই নিরবে বসে আছেন বাবা আবুল হোসেন ও ভগ্নপতি মোখলেছুর রহমান। তাদের চোঁখে-মুখে শুধুই হতাশার ছাপ। 

হাসপাতালে কথা হয় ছাত্রীর বাবা মো. আবুল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, আমার মেয়ে এমনিতেই শিশু তার মধ্যে আবার আরেকটি শিশুর মা হলো। এখন এ শিশুর দায়িত্ব নেবে কে? তার পিতৃ পরিচয় কি? আমি এই মেয়েকে নিয়ে এখন কি করবো? আমি মামলা করার পরও মূল আসামি আনছের আলীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। আসামির পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে। আমি কি এর কোন বিচার পাবো না? নাকি আমি গরীব বলে বিচার পাওয়ার অধিকার আমার নাই?

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এস আই মো. মনির হোসেন বলেন, স্কুল ছাত্রীর বাচ্চা প্রসবের বিষয়টি আমি শুনেছি। মামলাটি একটু জটিল। ইতিমধ্যে মামলার এক আসামী শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রী ও শরিফুলের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান আসামী আনছের আলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে চাচা আনছের আলী ও ভাতিজা শরিফুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার করা হয় শরিফুলকে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় শরিফুল।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় মাভাবিপ্রবি কেন্দ্রে উ মির্জাপুরে রাতের আঁধারে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা নাগরপুরে দু''পক্ষের সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নি সখীপুর বনে দুর্বৃত্তের আগুন, বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী কালিহাতীতে মে দিবস পালিত মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধ প্রধান শিক্ষককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর, থানায় মামলা গোপালপুরে বিদেশ ফেরত পুনরেকত্রীকরন শীর্ষক কর্মশালা নাগরপুরে খাদ্যভিত্তিক পুুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক প্রশি করটিয়া হাটে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হলেন বাবা ৫০০ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ নেতা গোপালপুরে হিটস্ট্রোকে চা বিক্রেতার মৃত্যু  নাগরপুরে বালুবাহী ট্রাক্টর কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থগিত 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি