ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ৫ ঘণ্টাপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে যাত্রী ও চালকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। নির্বিঘ্নে চলাচল করছে পরিবহন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অতিরিক্ত ঘন কুয়াশার কারণে ভোর ৫ টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে তীব্র শীতের মধ্যে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী ও চালকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা ও এলোমেলোভাবে গাড়ি চালানোর কারণে সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার কিছু কিছু যানবাহন ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করেন চালকরা।
এদিকে, মহাসড়কের তীব্র যানজট যানজট নিরসনে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশ ও বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সদস্যরা কাজ করছেন। পরে বেলা সাড়ে ৯ টার পর থেকে মহাসড়কের কিছু কিছু অংশে যানজট কমে আসে।
চালক ও যাত্রীরা জানান, কুয়াশার কারণে ভোর থেকে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। এতে এই তীব্র শীতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরে বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন চলাচলের চাপও কমে আসে। এসময় ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে তীব্র যানজট ও দূর্ঘটনারোধে পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে দেখা যায়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে মহাসড়কের প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সকাল ১০ টা থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। যানজট নিরসনে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।
এদিকে- বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ঘন কুয়াশা পড়লেও টোল আদায়ে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। টোলপ্লাজা এলাকায় ঘনকুয়াশায় গাড়ির গতির দৃষ্টিসীমা পরিমাপকযন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...